বিশেষ প্রতিনিধি : ভূমি মানুষের মৌলিক অধিকার, আর সেই অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি,”—গাজীপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বাংলাদেশ ভূমিহীন ও গৃহহীন হাউজিং লিমিটেডের নেতৃবৃন্দ।

সেখানে উপস্থিত থেকে সংগঠনটির প্রতিনিধিরা জানান, হাইকোর্টের রায়ের আলোকে গাজীপুরের ৩০৯৫টি ভূমিহীন পরিবারকে ০.৫ শতাংশ করে সরকারি খাস জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা জরুরি। সংগঠনটি সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজহার আলী বক্তব্যে বলেন, প্রায় আট বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ভূমিহীনদের পক্ষে আন্দোলন করে যাচ্ছে তারা। বারবার সরকারি মন্ত্রণালয়ে আবেদন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সচিবালয়ের সামনে মানববন্ধন, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ, এমনকি আইনগত লড়াই করেও এখনো তারা ভূমির দখল পায়নি।

আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে জানানো হয়, করোনাকালে ফাইল আটকে থাকার পর ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসকের বরাবর নতুন করে চিঠি পাঠানো হয়। পরে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হলে আদালত ৩০৯৫টি পরিবারের পক্ষে রায় দেন। ১৭ মার্চ ভূমি মন্ত্রণালয়ে এই সংক্রান্ত নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল বলেন, আমরা সব সময় দরিদ্র মানুষের নিয়ে কাজ করছি, পথ শিশুদের পূর্ণবাসনের চেষ্টা করছি, ঢাকা শহর শহর সারা দেশে পথশিশু ও দরিদ্র মানুষের মাঝে, কম্বল বিতরণ, খাদ্য বিতরণ, ওষুধ বিতরণ ও সব সামগ্রী বিতরণ করেছি। ভূমি দের ন্যায্য ঢাবি আদায়ের জন্য আমরা সারা দেশব্যাপী আন্দোলন সংগ্রাম করে চলেছি। আমাদের দাবি প্রতিটি ভূমিহীন পরিবার যেন একটু মাথা গোজার ঠাই পাই।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা প্রশ্ন তোলেন, “যখন সরকারের পরিবর্তনের পর নানা উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে, তখন হাইকোর্ট নির্দেশিত এই মানবিক প্রকল্প থমকে থাকবে কেন?” তারা জানান, ভূমিহীনদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন প্রশাসনিক আন্তরিকতা ও দ্রুত পদক্ষেপ।
এ সময় বক্তারা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না। এখনই সময়, এই রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরানোর।”এ সময় গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভূমিহীনরা তাদের নির্য অধিকার পাওয়ার দাবিদার। বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি ।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গাজীপুরে দীর্ঘদিন ধরে গৃহহীন থাকা পরিবারগুলো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে এবং একটি টেকসই সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা ঘটবে বলেও তারা আশা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনের সার্বিক তথ্য বিধানে ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।