নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বুধবার ১৬ এপ্রিল, সকাল টায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মূল ভবন এবং এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব দুটি টয়লেট চালু হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অনুমোদনক্রমে ব্রাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

আজ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ মহোদয় নবনির্মিত এ স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।

এসময় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি এ উদ্যোগকে মর্যাদাপূর্ণ ন্যায়বিচারের পথে একটি মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন যে, বারের সদস্যবৃন্দ অথবা সাধারণ বিচারপ্রার্থী মানুষ, যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে সুপ্রীম কোর্টে আসেন, ইতোপূর্বে তাদের সুবিধার জন্য পাইলট প্রকল্প হিসেবে দুটো ডেডিকেটেড স্থানে পুরুষ, মহিলা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য টয়লেট চালু করা হয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন যে, এটি জনগণের প্রতি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ। এসময় পাইলট প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের জন্য তিনি ব্র্যাকের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১,১৫,১৯,২৭,২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের মর্মানুসারে প্রত্যেক নাগরিকের সম্মানজনক জীবনযাপন, সমান অধিকার, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও রাষ্ট্রীয় সেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার রয়েছে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারনে আদালতে প্রাঙ্গণে অনেক সময়েই নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই প্রবেশাধীকার নানা কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের কারণে সহজলভ্য নয়।
ফলে স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও অন্ত্ররভুক্তিমূলক টয়লেট সুবিধার অভাব অনেক সময় নারীদের ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আদালতে উপস্থিতি ও ন্যায়বিচার পাওয়ার পথকে দুরূহ করে তোলে।
তারই প্রেক্ষাপটে, নব্য চালুকৃত আধুুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্বলিত এই টয়লেট দুটি বিচারাঙ্গনের বিভিন্ন সুবিধাকে আরো মানবিক, সম্মানজনক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক করে গড়ে তোলার একটি প্রতিকি পদক্ষেপ।
এই প্রকল্পটি ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এটি বিচারপ্রার্থীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে আরো অন্তর্ভূক্তিমূলক বিচারিক পরিবেশ তৈরি করবে।