নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার সঙ্কাটাপন্ন রোগীদের জন্য জরুরি অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশন সুবিধা সহজলভ্য করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, শ্বাসনালীতে নল ব্যবহার ছাড়াই স্বল্প মূল্যের ভেন্টিলেটরের সাহায্যে সিংহভাগ রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। আইসিইউ রোগীদের কথা বিবেচনায় এনে ভেন্টিলেটর আমদানির জোর তাগিদ বিশ্লেষকদের।
করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৮২ শতাংশ সাধারণ চিকিৎসায় সুস্থ হলেও ১২ থেকে ১৩ ভাগ রোগীর জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন বা নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন। শ্বাসনালীতে নল না ঢুকিয়েই অক্সিজেন সরবরাহের এ ভেন্টিলেটরের একেকটির দাম মাত্র আড়াই থেকে ৫ লাখ টাকা। এ পদ্ধতিতে আক্রান্তের উল্লেখযোগ্য অংশকে সুস্থ করা সম্ভব বলে মত সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞদের।
মেডিসিন সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. আরিফুল বাসার বলেন, উল্লেখযোগ্য অংশকে সুস্থ করা সম্ভব কিন্তু তার জন্য একটা সেটআপ লাগবে, অক্সিজেন সাপোর্ট লাগবে। এবং এ কাজটা যে চিকিৎসকরা করবেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই লাগবে।
আক্রান্ত ৪ থেকে ৬ ভাগের জন্য প্রয়োজন আইসিইউ। দেশের বাস্তবতায় রাতারাতি শত শত আইসিইউ নির্মাণ সম্ভব না হওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহের দিকেই প্রাথমিকভাবে বেশি জোর দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। এক্ষেত্রে এখনই আক্রান্তের আনুমানিক সংখ্যা ধরে জোর প্রস্তুতির আহ্বান তাদের।
বিএসএমএমইউর আইসিইউ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম আখতারুজ্জামান বলেন, পরিকল্পনা করা উচিত, করোনা স্পেশাল হাসপাতাল বানানো উচিত।
সরকারি বেসরকারি মিলে দেশে আইসিইউয়ের সংখ্যা প্রায় ৬শ’ হলেও, সচল নেই সমান সংখ্যক ভেন্টিলেশন মেশিন। জটিল রোগীদের কথা বিবেচনায় এনে অচল মেশিনগুলো কার্যক্ষম করার পাশাপাশি চিকিৎসকের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত আমদানির আহ্বান তাদের।
পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হলেও ভেন্টিলেটর সরবরাহকারীদের সঙ্গে সরকারের কেউ এখনও যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমদানি করতে হবে এসব ইকুইপমেন্ট। ভেন্টিলেশন মেশিন ব্যতীত আমরা অনেক লোককে হারাব।
সঙ্কটকালীন মুহূর্তে কোন কোন হাসপাতাল থেকে ভেন্টিলেটর নেয়া হবে সেটি এখনই নির্ধারণের ওপর জোর দিলেন বিশ্লেষকরা। তবে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেবেন এমন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এখনই প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা না হলে যথাসময়ে মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে না বলে মত তাদের।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2020/03/171117Untitled-3_copy.jpg)