সুমন হোসেন, (যশোর) : “নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও” শ্লোগান কে সামনে রেখে ১৯ এপ্রিল সকাল ১১ টা ৩০, মিনিটে প্রেসক্লাব যশোরে ৫ টি সংগঠনের এক প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫টি সংগঠনের মধ্য মুক্তেশ্বরী নদ বাঁচাও আন্দোলন, ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি, কপোতাক্ষ নদ বাঁচাও আন্দোলন ও চিত্রা বাঁচাও আন্দোলন পক্ষ থেকে আয়োজিত এই প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী।

সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন ৫ সংগঠণের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহবায়ক গাজী আব্দুল হামিদ, ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু, মুক্তেশ্বরী নদ বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম নেতা তসলিম উর রহমান, কপোতাক্ষ নদ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, হরি গেংরাইল সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি মহিনউদ্দিন বিশ্বাস, চিত্রা বাঁচাও আন্দোলনের তারাপদ রায়, কপোতাক্ষ নদ বাঁচাও আন্দোলনের মহেশপুরের সদস্য সচিব আব্দুর রহমান, অনিল বিশ্বাস, আহাসান উল্লাহ ময়না, শিবপদ বিশ্বাস, বিমল ঘোষ, রাজু আহমেদ, শেখর বিশ্বাস, খবির সিকদার, মাহমুদ হাসান আব্দুস সামাদ প্রমুখ।

প্রতিনিধি সভায় বিশেষ ভাবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ইসরারুল হক, অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী, এড মাহমুদ হাসান বুলু, অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, এড আমিনুর রহমান হিরু, মুক্তার আলী।

সভায় ভবদহ জলবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে অবিলম্বে টিআরএম চালু এবং বর্ষা মৌসুমের আগে সকল স্লুইচ গেট উন্মুক্ত করা ও নদ খনন করা, উজানে নদী সংযোগ, ভৈরব নদকে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান নদী হিসেবে সচল ও সংরক্ষণ করা, হাসপাতালের নামে দখলকৃত মুক্তেশ্বরী নদকে অবমুক্ত করা, ভৈরব কপোতাক্ষ চিত্রা সহ সকল নদ-নদীর দখলদার উচ্ছেদ ও সকল দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সহ আমডাঙা খাল প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ২২ এপ্রিল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
উক্ত সভায় সিদ্ধান্ত হয় কুষ্টিয়া থেকে যশোর পর্যন্ত মাসব্যাপী দাবি মাস পালন করা হবে। এই মাস ধরে গ্রামে গ্রামে হাট সভা গ্রাম সভা প্রচার সভা করা হবে। জুন মাসের ১ম সপ্তাহে পোলেরহাট মুক্তেশ্বরী নদের পাড় থেকে দড়াটানা ভৈরব পাড় পর্যন্ত উপরোক্ত দাবিতে পদযাত্রার কর্মসূচি প্রতিনিধি সভায় গৃহীত হয়।