নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর সিত্তুল মুনা চৌধুরীর পোষা সন্ত্রাসী বাহিনীরা আবারো ঠিকাদার ফরিদুল আলম কে হত্যার হুমকি দেওয়ায় একই ভবনে বসবাসরত ব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ফরিদুল আলমের সাথে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করায় সখ্যতা গড়ে উঠে মুনার। একপর্যায়ে ফ্ল্যাটের ভেতরেও যাতায়াত ছিল। বিভিন্ন সময় ফরিদুল আলমের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়েছেন সিত্তুাতুল মুনাা।

এ নারী। শেষমেশ ফরিদুল আলম এর সম্পদ টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে অপহরণ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।মুনার রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। ফরিদুল আলম কে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন করেছে। এ সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠ সখ্যতা।

এভাবে ফেসবুকে পরিচয় হয়ে সখ্যতা গড়ে ব্লাকমেইল করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিঃস্ব করে। তবে একাধিক স্বামী পাল্টানো হলেও বসবাস করছেন আরেক ডিভোর্সি স্বামী আনোয়ার সেলিমের ফ্ল্যাটে। ওই মুনা চৌধুরীর স্বামী পাল্টানোর রোষাণলে পরে ফরিদুল আলম আর্থিক ,মানসিক, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অস্বস্তিতে ভুগছেন এ ঠিকাদার। বিগত এক বছর আগে অপহরণ হলেও ওই সন্ত্রাসী চক্রের কারণে ভাড়া বাসায় উঠতে পারছেন না।

ফরিদুল আলম বাসায় উঠতে গেলে হুমকি ধামকিসহ জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত । সিত্তুল মুনার পরকীয়া প্রেমিক মোস্তফা সরদার তপন মোবাইলে প্রকাশ্যে হুমকির স্ক্রিনসর্ট নিউজ লিংকে দেওয়া হয়েছে। ফরিদুল আলম কে বাসা থেকে বের করে প্রতারক মোস্তফা কে নিয়ে সংসার করছেন এ নারী। স্বামী পরিচয় দিতে না পারলেও পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে আসছেন। বাসায় ভাই , বাইক চালক, কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফিজিওথেরাপিতে পিএইচডি করা আবার মার্কেটে গেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আসছেন। বাসায় মুনার সন্তানেরা মামা সম্বোধন করলেও রাতের বেলা মুনার বিছানা সঙ্গী হয় এই প্রতারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মুনা চৌধুরীর স্বামী পাল্টানো যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। আনোয়ার সেলিম কে ডিভোর্স দিয়ে তার ক্রয় করা ফ্ল্যাটে অন্য স্বামীকে নিয়ে সংসার করছেন। আবার মোস্তফা সরদার তপন কে পাওয়ার আগেও আরো সাতজনের সঙ্গে সংসার করেছেন এই নারী। ফরিদুল আলম কে স্বেচ্ছায় সরাতে না পেরে অপহরণের কান্ড ঘটিয়ে তাকে অপমান করে বাসা ছাড়া করে এ দুর্ধর্ষ নারী। তার ভেতরে রয়েছে অদ্ভুত এক ভয়ঙ্কর রূপ।
এদিকে প্রতারক মোস্তফা মুনার হবু জামাইয়ের মুনাকে সহ ১৩ নম্বর বিয়ের পিঁড়িতে পা রাখছে। রাজধানী ঢাকায় ব্ল্যাকমেইল করে ৭টি বিয়ে করেছেন এছাড়াও খুলনা, কুষ্টিয়া ,বগুড়ায় ,বিয়ে করে টাকা-পয়সা লুটে পালিয়ে এসেছে। প্রতারকের প্রথম স্ত্রী তিন সন্তান নিয়ে পাবনার খাসচর গ্রামে নিজ বাড়িতে মানবতার জীবন যাপন করছেন। না না অপকর্মের জন্য পরিবারের কারো সাথে সম্পর্ক নেই। এ প্রতারকের রয়েছে ছয়টি এনআইডি কার্ড। ইতোপূর্বে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় গ্রেপ্তার হলে একাধিক এনআইডি কার্ড দেখিয়ে জামিন নিয়েছেন।
প্রতারক চক্রের একাধিক সদস্যের মধ্যে অনুজ দাস ও সাইদুল সহ অন্য আরেকটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে মুনা চোধুরীর। কোথাও পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অনুজ দাস আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। গতকাল বুধবার বিকেল অনুমান তিনটার দিকে মোস্তফার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ক্ষুদেবার্তায় হুমকি দিয়ে ফরিদুল আলম কে বলেন, তোর একাউন্টগুলো সব এ সপ্তাহে ফ্রিজ হবে । ৪ তারিখ তুই কোর্টে আয় তোকে বোঝানো হবে । ১৭ তারিখ তোকে বাঁচিয়ে দিয়েছি । তোর শক্তি থাকলে এক ঘন্টার জন্য পারলে বাসায় প্রবেশ কর , তারপর তার মাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে প্রতারক।
এসব বিষয় জানতে চাইলে ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন , প্রতারক মোস্তফা রাতে মুনার বিছানা সঙ্গী হয় আবার বাইরে বের হলে বাইক চালক, ভাই , কাঁচামাল ব্যবসায়ী মার্কেটিং করতে গেলে স্বামী পরিচয় দেয়। ওই ভবনের বিশ্বস্ত সূত্র বলছে , বাসায় ভাই পরিচয় দিয়ে থাকে আবার বাচ্চাদের অজান্তে বিছানা সঙ্গী, আবার বিভিন্ন খদ্দেরের বাসায় মোস্তফা কে নিয়ে যায়।আমাকে অপহরণ কাণ্ড ঘটিয়ে বাসা ছাড়া করছে। ওই সন্ত্রাসী দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করছে এ পুরষ লোভী চরিত্রহীন নারী। আমি আদালতে মামলা করেছি বিচারাধীন রয়েছে। আমি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।