নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল কমান্ডারের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার পর বিজিবির চার সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় ২৫ চোরাকারবারির নামে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।

বিজিবি সিলেট সেক্টরের সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়নের তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপির হাবিলদার আব্দুল আলীম বাদী হয়ে সোমবার ওই মামলাটি করেন। সরকারি কাজে বাধা দান, অস্ত্র, চোরাচালানের ফুচকা ছিনিয়ে নেওয়া, বিজিবি টহল দলের ওপর হামলার ঘটনায় এ মামলা করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন-চোরাকারবারি তারভেজ মিয়া, তার ভাই জিলানী মিয়া, হুমায়ুন, তোফাজ্জল হোসেন, আকাইদ মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জন। এর পূর্বে শনিবার (১৯ এপ্রিল) তাহিরপুরের লাউরগড় সীমান্তে বিজিবি টহল দলের হাত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা আটক ১২ বস্তা ভারতীয় ফুচকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়।

বিজিবি সিলেট সেক্টরের সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়নের তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপির হাবিলদার আব্দুল আলীম বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দান, অস্ত্র , চোরাচালানের ফুচকা ছিনিয়ে নেয়া, বিজিবি টহল দলের উপর হামলার ঘটনায় অভিযোগে সোমবার ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৯ এপ্রিল) তাহিরপুরের লাউরগড় সীমান্তে বিজিবি টহল দলের হাত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা আটককৃত ১২ বস্তা ভারতীয় ফুচকা ছিনিয়ে নেয়ার পর, চোরাকারবারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলের উপর হামলা করে।
প্রথম দফায় ফুচকার চালান ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে ফের চোরাকারকারবারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলে থাকা বিজিবির এক সদস্যকে হত্যা চেষ্টা চালাতে গিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তার্থ জখম করে।
অপর বিজিবি সদস্যকে লাঠিপেটা করে, বিজিবির নায়েবকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে, অপর এক বিজিবি সদস্যস্যের থাকা অস্ত্র মাটিতে ফেলে দিয়ে তাকে শারিরীকভাবে নাজেহাল করে বিজিবির টহল কমান্ডারের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে, লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনের সড়কে থাকা দিক নির্দেশনামূলক বোর্ড ভেঙ্গে ফেলে চোরাকারবারি বীরদর্পে সীমান্তে তাদের অপতৎপরতা, ধৃষ্টতা দেখায়। ।
এদিকে বিজিবি টহল দলকে জিম্মি করে ১ লাখ ৯ হাজার ২০০ টাকা মুল্যর ১২ বস্তা চোরাচালানের ফুসকা ছিনিয়ে নেয়ার পর বিজিবি টহল দল ৯ হাজার ৬০০ টাকা মুল্যেও ০১ বস্তা ফুচকা জব্দ করে। বিজিবি টহল দলের উপর হামলায় অংশ নেয়ারা অধিকাংশই ছিল শ্রমিক।
সীমান্ত এলাকার নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানায়, সীমান্তের পেশাদার ফুচকা চোরাকারবারি সাবেক এক ইউপি সদস্য পুলিশের কথিত লাইনম্যান ও চোরাকারবারে জড়িত থাকা তার সহযোগিরা আড়ালে থেকে বিজিবিকে তাদের সক্ষমতা জানান দিতে গিয়ে ওই হামলা চালাতে ইন্দন যোগায় এবং তাদের লাখ টাকার ফুচকার চালান বিজিবির হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই হাফিজুল ইসলাম বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় এখানো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।