রাজধানীর রামপুরায় চাঁদার দাবিতে গোলাগুলির অভিযোগে থানায় মামলা ৫ জন গ্রেফতার

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক   : রাজধানীর রামপুরা শিমুলবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদার দাবিতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮-৯ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়মিত এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে। স্থানীয় পেশাদার চাঁদাবাজ জুয়েলের নের্তৃত্বে ওই ভবনে দশলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে।


বিজ্ঞাপন

পরে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেন। আটককৃতরা হলেন দীপঙ্কর, গোলাম রাব্বী রনি, মোঃ নয়ন ,মৃদুল ও রিফাত। ঘটনার পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ৪-৫ জন সন্ত্রাসী পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা হয়েছে মামলা নাম্বার ২৫ তারিখ ২৬ -৪ -২০২৫ ধারা ১৪৩ ,৪৪৮ ,৩২৩ ,৩৮৫, ৫০৬, ১১৪ ,৩৪ পেনাল কোড।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গতকাল রাত অনুমান ৮টার দিকে স্থানীয় শিমুলবাগ নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদার দাবিতে ৮-৯ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী হাজির হয়ে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ভবন মালিকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।


বিজ্ঞাপন

ঘটনাস্থলে ২২ নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি ছোট বাদশা উপস্থিত ছিলেন। গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা হাতিরঝিল থানায় খবর দিলে অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে এস আই শাহ আলমের সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে আটক করেন। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান জুয়েল ,জাকির, হৃদয়, ও ফেরদৌস ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে আসামিদের গতিবিধি রক্ষিত আছে।

স্থানীয় সূত্রের দাবি রামপুরা থানা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম খান তুষার এর সেকেন্ড ইন কমান্ড জুয়েল। এবং দীপঙ্কর রামপুরা থানা মৎস্যজীবী লীগের সক্রিয় সদস্য। তুষার খানের হুকুমে জুয়েল এর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করছে।

এছাড়াও দাসপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে খেটে খাওয়া সিএনজি চালকদের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে সাথে থাকা টাকা পয়সা ছিনতাই করে। অস্ত্র ঠেকানোর ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের হাতে রয়েছে। সে এতই বেপরোয়া এলাকার কাউকে তোয়াক্কা করে না। সিএনজি চালকেরা এ সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জিম্মি। এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের আতঙ্কের নাম জুয়েল ,জাকির ,হৃদয়, ও ফেরদৌস তারা দিনে দুপুরে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ছিনতাই করে থাকে।

এসব বিষয় জানতে চেয়ে মামলার বাদী এস আই শাহ আলম গণমাধ্যম কে বলেন, আমরা একত্রিশ জন মালিক মিলে একটা ভবন নির্মাণ করতেছি। প্রতিনিয়ত চাদার দাবিতে এখানে এসে বসে থাকে এবং শ্রমিকের কাজ বন্ধ করে দেন। প্রতিদিনের মতো গতকালকে চাঁদার দাবিতে এখানে এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়।

স্থানীয়রা একাত্রিত হয়ে তাদেরকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে আমরা তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হই এবং মামলা দিয়ে আদালতে চালান করি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে বাকি আসামিদেরকে গ্রেফতার করে অচিরেই আইনের আওতায় আনবো।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *