নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউওইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রোয়াসুস বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুদিনের মধ্যে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ হয়ে যাবে।
বুধবার জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, আমাদের কাছে এটা এখনো নতুন একটি ভাইরাস। এর বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি। যেহেতু অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন তথ্য আসছে, এর ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরামর্শও বদল ফেলব।
এত দিন মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ না দিলেও এবার সংস্থাটির কাছ থেকে এমন পরামর্শ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব আর কখনো এত বড় পরীক্ষার মুখে পড়েনি।
প্রসঙ্গত, করোনার ভয়াল ছোবলে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সাথে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ১১ হাজার ৪ শ জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৮ শ ৭৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের। বুধবার এ অঞ্চলে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৯১৭ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৭১২ জনে। এদিন সেখানে মারা গেছে আরো ৩১৯ জন। ফলে শুধু নিউ ইয়র্কেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৪১ জন।
নিউ জার্সিতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার মানুষ, মারা গেছে ২৬৭ জন। মিশিগান অঙ্গরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৭৫ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৯ জনে। এ অঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।
আক্রান্তের সংখ্যায় অনেক আগেই চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার মৃত্যুর সংখ্যাতেও বহুদূর এগিয়ে গেল তারা। বুধবার দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৬৬৫ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭ শ ১৮ জনে।
মহামারী আকার ধারণ করা এ ভাইরাসে বিশ্বে মোট ৯ লাখ ৩০ হাজার ৫ শ জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে। বুধবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ১ শ ৮৭ জন। এছাড়া চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০ জন।