নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের কারণে অঘোষিত লকডাউন চলছে দেশে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া প্রায় সব বন্ধ। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মার্চের বেতন পাননি, পাবেন কি-না সে নিশ্চয়তাও নেই। সমাজের এই নি¤œমধ্যবিত্ত চাকরিজীবী লোকেরা অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন। তবে সামাজিক আত্মসম্মানের ভয়ে তারা সরকার বা স্থানীয়ভাবে কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছেন না।
এবার এমন মধ্যবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ। বুধবার রাতে ডিসি গুলশান- ডিএমপির ফেসবুক পেজ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়। পোস্টটি দেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘অসহায়, দুস্থ , নি¤œ আয়ের চাকুরিজীবী, নি¤œমধ্যবিত্ত যারা কারেও নিকট হাত পাততে পারেন না তাদের সাহায্যের জন্য মোবাইল নম্বসহ ইনবক্স করুন। পরিচয় গোপন রেখে সাধ্যমত সাহায্য করা হবে।’
সময়োপযোগী এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে গুলশানের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমরা সবাই নি¤œবিত্ত, গরিব দুস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা করে সাহায্য সহযোগিতা করছি। তবে সমাজের অনেকেই নীরবভাবে জীবনযুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তারা কারও কাছে হাত পাততে পারছেন না। তাদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে এই পোস্টটি দেয়ার পরে আমরা অনেক সাড়া পেয়েছি। অনেকে আমাদের ইনবক্সে তথ্য দিয়ে সাহায্যের আবেদন করছেন। আমরা তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের সাহায্য করছি। ইতোমধ্যে অনেককে সাহায্য করা হয়েছে। তবে আমরা তাদের নাম-পরিচয় ও ছবি গোপন রাখবো।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ফোন পেয়ে সাহায্য-সহযোগিতা ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। তবে অনেকেই মধ্যবিত্তদের বিষয়ে উদ্বেগ জানান। সরকার ও কোনো মহল থেকেই তাদের সাহায্যের বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।
ডিসি-গুলশানের এমন উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। তার পোস্টটিতে অনেকেই কমেন্ট করে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এক দফা সময় বাড়িয়ে ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এই সময়ে সাধারণ মানুষের অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে সরকার। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ফলে অনেকের আয় কমেছে।