নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : মাদ্রাসায় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় চাচাকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন খাটের নামে।

শনিবার মাদ্রাসা ছাত্রীদ্বয়কে যৌন হয়রানি, শ্লীলতাহানি ও চাচাকে মারপিটের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ভোক্তাভোগীদের পক্ষ থেকে।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের বালিজুড়ী নয়াহাটির মহিবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান,একই গ্রামের একই পরিবারের মুজিবুর রহমানের ছেলে হিমেল মিয়া,আলমগীর হোসেনের ছেলে মারুফ মিয়া,জাহাঙ্গীরের ছেলে তৌশিক মিয়া, হাবিব মিয়ার ছেলে রকি মিয়া।

রোববার ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রীদ্বয়ের পারিবারীক সুত্র জানায়, উপজেলার বালিজুড়ীতে মাদ্রাসা থেকে পুরান বারুঙ্কা গ্রামে বাড়ি ফেরার যাতায়াত পথে গেল ২৮ মার্চ বিকেলে বালিজুড়ী বাজারের পশ্চিম তীরে বারুঙ্কা চর্মকার সম্প্রদায়ের বাড়ির সামনের সড়কে পথরোধ করে ১২-১৩ বছর বয়সি দুই মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শ্লীলতাহানি ঘটায় উপজেলার বালিজুড়ী নয়া হাটির পাঁচ বখাটে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এলে পাঁচ বখাটে সংঘবদ্ধ হয়ে পারিবারিক প্রভাবে দুই মাদ্রসা ছাত্রীর চাচাকে বেধরকভাবে মারপিট করে আহত করে।
আহত ওই ব্যাক্তিকে দ্রত সুনামগঞ্জ সদর মডেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, যৌন হয়রানি, শ্লীলতাহানি ও প্রতিবাদ করায় চাচাকে মারপিটের ওই ঘটনার পরদিন ২৯ মার্চ তাহিরপুর থানার অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এরপার থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অভিযুক্তদের রক্ষায় নানা টাল বাহানা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও মামলা ডায়েরিভুক্ত করতে কয়েকদিন সময়ক্ষেপন করে থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার এবং আহত চাচাকে অভিযুক্তদের পক্ষে থাকা প্রভাবশালীদের দিয়ে অদৃশ্যভাবে নানামুখী চাঁপ দিতে থাকেন।
এরপর গোটা বিষয়টি পুলিশের উধ্বর্তন কতৃপক্ষের নজরে আনার পর অভিযোগেন ৬ দিন পর এজাহার হিসাবে থানায় মামলাটি ডায়েরিভুক্ত করানো হয় থানার ভারপ্রাপ্ত (অফিসার ইনচার্জ) ওসির দায়িত্বে থাকা এক এসআইকে দিয়ে।
রোববার তাহিরপুর থানার মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই শরীফুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাতে অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন তদন্ত করতে বিলম্ভ হওয়ায় মামলাটি ডায়েরিভুক্ত করতে কয়েকদিন বিলম্ভ হয়ে গেছে।