গোপালগঞ্জে ডাক্তারসহ দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করছে দুদক 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী :  গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের আর এমও ডাঃ ফারুক আহমেদ সহ দুজনের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা দুদক কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোঃ আল আমিন হোসেন।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার ৮ মে গোপালগঞ্জ দুদকের কার্যালয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর ৯ /২৫ ১০/২৫ তারিখ ৮/৫/২৫।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৯ নম্বর মামলার ১ নম্বর আসামী গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের আর এমও  ডাঃ ফারুক আহমেদ ও দুই নম্বর আসামী মোঃ স্বাধীন চৌধুরী, পিতাঃ ভিকু চৌধুরী, গ্রাম + ডাকঘরঃ গোবরা, গোপালগঞ্জ। ১০ নম্বর মামলার ১ নম্বর আসামি উল্লিখিত ডাঃ ফারুক আহমেদ ও ২ নম্বর আসামী তানিয়া সুলতানা, স্বামীঃ আজিজ শেখ গ্রামঃ খাগাইল, গোপালগঞ্জ। ৯ নম্বর মামলার সূত্রে জানা যায়,
দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার নথি নং ০০.০১.৩৫০০.৭০৮.০১.২৯২.২৪ (ই/আর নম্বর- তদন্ত- ১/২৯২/২০২৪/গোপালগঞ্জ) এর অভিযোগের অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, বিগত ১৪/০৬/২০২৩ খ্রি. তারিখ বিকাল ৩:৩০ ঘটিকায় মো: আমিনুর চৌধুরী (৪০), গোবরা, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ নামীয় ব্যক্তি শরীরে জখম নিয়ে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এসে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।


বিজ্ঞাপন

গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ইনজুরি নোট খাতা/পুলিশ কেস রেজিস্ট্রারের, ইনজুরি প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিগত ১৪/০৬/২০২৩ খ্রি. তারিখের ঘটনা সংক্রান্তে উক্ত হাসপাতালের ইনজুরি নোট খাতা/পুলিশ কেস রেজিস্ট্রারের ৯২০/১২ সিরিয়ালে তৎকালীন জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম ইনজুরির সার্বিক অবস্থা উল্লেখ করেন কিন্তু পরবর্তীতে ১নং আসামি গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. ফারুক আহমেদ ইনজুরি নোট খাতা/পুলিশ কেস রেজিস্ট্রারের ৯২০/১২ সিরিয়ালে উল্লিখিত জখমের বর্ণনা বিকৃত/ ঘষামাজা করে বিগত ২৫-০৬-২০২৩ তারিখে ইনজুরি প্রতিবেদন সরবরাহ করেন। অর্থাৎ ০১ নং আসামি ডা. ফারুক আহমেদ রোগী আমিনুর চৌধুরী এর আপন ভাই ০২ নং আসামী স্বাধীন চৌধুরী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইনজুরি নোট খাতা/পুলিশ কেস রেজিস্ট্রারের তথ্য বিকৃত/ঘষামাজা করে ক্ষমতার অপব্যবহার করত: মিথ্যা ও জালিয়াতিপূর্ণ প্রতিবেদন সরবরাহ করে সাধারন আঘাত-কে গুরুতর আঘাত মর্মে প্রতিবেদন দিয়ে মিথ্যা ধারায় মামলা দায়েরের সুযোগ করে দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।


বিজ্ঞাপন

১০ নম্বর মামলা সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার নথি নম্বর ০০.০১.৩৫০০.৭০৮.০১.২৯২.২৪ (ই/আর নম্বর- তদন্ত- ১/২৯২/২০২৪/গোপালগঞ্জ) এর অভিযোগের অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, বিগত ২৬/০৪/২০২৩ খ্রি. তারিখ রাত আনুমানিক ১০ টা ১০ মিনিটে তানিয়া সুলতানা গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আশিকুজ্জামান এর নিকট থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান, যার রেজিঃ নম্বর- ৬৭৩০৬৭, তারিখ: ২৬/০৪/২০২৩ খ্রি.। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিগত ১৯/০৭/২০২৩  তারিখে  তানিয়া সুলতানা বাদি হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩২৩/৩০৭/৩২৫/৩২৬/৩৪ ধারা মূলে মামলা দায়ের করেন যার নম্বর- ১০০৪/২০২৩।

মামলার বাদী তানিয়া সুলতানা, গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. ফারুক আহমেদ-কে প্রভাবিত করে ইনজুরি নোট খাতা/পুলিশ কেস রেজিস্ট্রারে ঘষামাজা, নতুন লিখা সংযোজন ও অন্য রোগীর এক্সরে আইডি ব্যবহার করে মিথ্যা ইনজুরি প্রতিবেদন সরবরাহ করিয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। অর্থাৎ তানিয়া সুলতানার আঘাত গুরুতর না হওয়া স্বত্ত্বেও প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রারে ঘষামাজা, নতুন লিখা সংযোজন ও অন্য রোগীর এক্সরে আইডি ব্যবহার করে  ক্ষমতার অপব্যবহার করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *