নিজস্ব প্রতিবেদক : পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন ( পিডিবিএফ) এর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও উপ-পরিচালক জাকির হোসেন ভোল পাল্টে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পিডিবিএফ এর বৈষম্য বিরোধী কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।

পিডিবিএফ সূত্রে জানা গেছে, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দাবি করতেন। এমনকি নিজের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য নিজেকে পলাতক ডিবি কমিশনার হারুনুর রশিদের বন্ধু দাবি করতেন।

চাটুকারিতা করে ও দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে পিডিবিএফ এর নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেজেছিলেন পিডিবিএফ এর কোঅর্ডিনেটর।
অন্যদিকে বড় আওয়ামী লীগার সাজার জন্য প্রচলিত রেওয়াজ ভঙ্গ করে পিডিবিএফ এ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু অঙ্গন।

সেজেছিলেন বঙ্গবন্ধু অঙ্গনের রূপকার। রূপকার সেজে সরকারের কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অপচয় করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্যে পিডিবিএফ এর কর্মচারীরা দুদকের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া, দলবাজি ও চাটুকারিতা করে, বিনা প্রয়োজনে সরকারী বিধি ভঙ্গ করে পিডিবিএফ এর টাকায় কোরিয়া ও মিশর ভ্রমণ করেন। যাতে সরকারের প্রায় ১০ লাখ টাকা অপচয় করা হয়েছে।
এদিকে ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর জাকির হোসেন ভোল পাল্টানোর অপচেষ্টা করছেন। রহস্যজনক কারণে বর্তমান এমডি তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এমডি’র আশির্বাদ পাওয়ার কারণে তিনি আগের মত প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডিবিএফ এর একজন কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী দোসর জাকির হোসেন এমডি’র ছত্রছায়ায় আগের মত অনিয়ম দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে ঐ কর্মকর্তা দাবি করেন।
এবিষয়ে জাকির হোসেন এর বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।