খুনি মাজেদকে গ্রেপ্তার মুজিববর্ষে শ্রেষ্ঠ উপহার

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধর খুনি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে গ্রেফতারের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন দ-প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ডাদেশ কার্যকর করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। তাদেরই একজন ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ আমাদের পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। আমরা কিছুক্ষণ আগে তাকে আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘তার স্ত্রী সালেহা বেগম। বাড়ি নম্বর ১০/এ, রোড নম্বর ১, ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকা। তিনি সেখানে বসবাস করতেন। আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে তার সব তথ্য ছিল।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের সময় এই দ-প্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ, নূর ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন এই তিনজনের অবস্থান ছিল। আরও কয়েকজন ছিল। মাজেদ তখন লেফটেন্যান্ট ছিলেন। এই খুনি শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনেই অংশগ্রহণ করেননি, তিনি জেলহত্যায়ও অংশ নিয়েছিলেন বলে আমাদের জানা আছে।’
তিনি বলেন, খুনের পরেই তিনি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের নির্দেশ মোতাবেক বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন। আমরা আশা করি আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার দ-াদেশ কার্যকর করতে পারবো। তাকে গ্রেফতারে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে আমি মনে করি, মুজিববর্ষের একটা শ্রেষ্ঠ উপহার আমরা দেশবাসীকে দিতে পেরেছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তৎকালীন জিয়াউর রহমানের সরকার বিচারের বদলে তাদের নানাভাবে পুরস্কৃত করেছে। ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে তাদের যাতে বিচার না হয় সে ব্যবস্থাটি পাকাপোক্ত করেছে। এই খুনিকে আমরা দেখেছি সেই সরকারের আশীর্বাদে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরিরত অবস্থায়, বিভিন্ন অবস্থায় তিনি দেশে এবং বিদেশে চাকরিরত অবস্থায় ছিলেন। এরপরে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে ১৯৯৭ সালে, তার আগেই তিনি আত্মগোপন করেন। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ছিল তাকে ধরার জন্য। গোয়েন্দা বাহিনী এবং যারা যারা তাকে গ্রেফতারের কাজে ছিল তারা সবাই ভালো কাজ করেছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ‘অন্য যেসব খুনি যেখানে যেখানে আছে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করবো। মাঝে মাঝে বিস্ময়ে হতবাক হই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি দেশে না ফিরতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কোন পর্যায়ে যেত। তিনি দেশে ফিরে এসে দৃঢ়তার সঙ্গে হাল ধরেছিলেন বাংলাদেশের। শুধু বাংলাদেশকেই তিনি পাল্টে দেননি, তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ও জেলহত্যার আসামিদের পর্যায়ক্রমে ধরে নিয়ে আসছেন এবং আনছেন। তাদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আমরা যে কালিমালিপ্ত ছিলাম সেটাও মুছে গিয়েছে। তাই আজ আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারবো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শুধু বিচার হয়নি তাদের দন্ডাদেশ কার্যকর হচ্ছে।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *