নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাজ পরানো হয়েছে নবনিযুক্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শককে ব্যাজ পরানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নতুন মহাপরিদর্শককে ব্যাজ পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। এর মধ্য দিয়ে আইজিপি হিসেবে বেনজীর আহমেদের দায়িত্ব শুরু হলো।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদকে নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি সদ্য বিদায়ী আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর স্থলাভিষিক্ত হলেন। বেনজীর আহমেদ এর আগে র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গণভবনে আইজিপির ব্যাজ পরানো অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সদ্য বিদায়ী পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশে মেধাবী, সৎ ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা চার্লস স্ট্রার্ট ইউনিভার্সিটি ও সিঙ্গাপুরের বিশ্বব্যাংক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়াশোনা করেন।
সপ্তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ ১৯৮৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। র্যাবের ডিজি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ছয় বছরের বেশি। তার আগে তিনি প্রায় সাড়ে চার বছর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার, ডিএমপিতে ডিসি নর্থ, পুলিশ একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার টাঙ্গাইলের কমান্ড্যান্ট, ডিআইজি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগে চিফ অব মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসেস হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। কর্মদক্ষতায় তিনবার জাতিসংঘ শান্তি পদক অর্জন করেন।