নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ বর্তমানে National High Court of Brazil এর প্রধান বিচারপতি Antonio Herman Benjamin এর আমন্ত্রণে “Exchanges on Matters of Mutual Judicial Interest, Particularly Concerning Institutional Reform, Environmental Justice, Judicial Independence, and Technological Innovation in the Administration of Justice” শীর্ষক একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য ব্রাজিলে অবস্থান করছেন।

উক্ত সফরের অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি গতকাল শুক্রবার ১২ সেপ্টেম্বর, সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি সাও পাওলোতে অবস্থিত প্যালেস দ্য জাস্টিসিয়া (Palácio da Justiça) পরিদর্শন করেন। তিনি পরিদর্শনকালে সেখানে Court of Justice of São Paulo (TJSP) এর প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো অ্যান্টোনিও টরেস গার্সিয়ার (Fernando Antonio Torres Garcia) এর সাথে এক পারস্পরিক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। বৈঠকে উভয় দেশের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিশেষ করে, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় রেস্টোরেটিভ জাস্টিস (Restorative Justice) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং তার কার্যকর প্রয়োগের সম্ভাবনার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এর পাশাপাশি উক্ত বৈঠকে বিচার ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিসহ স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকল্পে সংস্কার কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে উভয় বিচারব্যবস্থার মধ্যে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

এছাড়া পরিদর্শনকালে প্রধান বিচারপতি Court of Justice of São Paulo (TJSP) এর ডাটা সেন্টার, ডিজিটাল আর্কাইভিং ম্যানেজমেন্টসহ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের সর্ববৃহৎ ফৌজদারী আদালত তথা সাও পাওলো ক্রিমিনাল কোর্ট আদালত পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি উক্ত আদালতে রেস্টোরেটিভ জাস্টিস (Restorative Justice) এর প্রায়োগিক দিক ও এর সুফল সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিচারব্যবস্থার সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতি আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর, পর্যন্ত ব্রাজিলে অবস্থান করবেন।
উল্লেখ্য, সফরের পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া, প্রধান বিচারপতি উভয় দেশের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।