নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দিয়েছেন তা অসত্য বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে সিইসি বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর ৪২ নাগরিক ভার্চুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। অভিযোগটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্তের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। বিষয়টি কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
অভিযোগগুলো হলো- নির্বাচন প্রশিক্ষণের জন্য বক্তব্য না দিয়ে বিশেষ বক্তা হিসেবে সম্মানী গ্রহণ, কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, পেপার ট্রেইল ছাড়াই ইভিএম, ইভিএম ক্রয়, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গুরুতর অসদাচারণ ও অনিয়ম।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সিইসি বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যয়ে আর্থিক অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।
নিয়মবহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগও অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম ক্রয়ের সঙ্গে সরাসরি নির্বাচন কমিশন যুক্ত নয়।… সুতরাং বিবৃতিতে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অসদাচরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও অসত্য। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিদেশি কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তোলেননি। গণমাধ্যমও কোনো অভিযোগ করেনি। বরং অনিয়মের কারণে বহু স্থানীয় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি পদে দুই থেকে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট পড়েছে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ।
নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা চলে গেছে এ খবর ভিত্তিহীন বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন সিইসি।