ঢাবি প্রতিনিধি : পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১৭ জন নয়, ১০০ জন বিতর্কিত ব্যক্তি রয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা বিতর্কিত ১০০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন তারা। ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত এবং কাঙ্খিত পদ না পেয়ে নাখোশ নেতাকর্মীরা তালিকায় থাকা নেতাকর্মীদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে যোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কবি জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ খান বলেন, কমিটির বিষয়ে আমরা ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছিলাম। তবে আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকে ঘোষিত কমিটি থেকে বিতর্কিতদের সরিয়ে যোগ্যদের স্থান করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমে ১৭ জনের নাম প্রকাশ করে আমাদের আন্দোলন যে যৌক্তিক তাই প্রমাণ করেছেন। আমাকে যদি কমিটিতে না রাখা হয়, তাহলে এতে কোনও দুঃখ নেই। তবে বিতর্কিতরা যখন ছাত্রলীগে প্রবেশ করবে তখন তারা সংগঠনকে বিতর্কিত করবে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেছেন যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু আমরা তার কাছে বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাই, যারা আমাদের বোনের ওপর হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আপনারা বুধবারল রাতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রমাণ করেছেন যে আমাদের আন্দোলন যৌক্তিক ছিল। আপনারা ১৭ জনের তালিকা গণমাধ্যমে দিতে বাধ্য হয়েছেন। আমাদের আন্দোলন যদি অযৌক্তিক হতো তাহলে আপনারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যেতেন। কিন্তু শ্রদ্ধা না জানিয়ে আপনারা স্বীকার করেছেন যে, একটি বিতর্কিত কমিটি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের শেষ আশ্রয়স্থল মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, আপনার কাছে আমরা অনুরোধ জানাবো, সংস্কার করার পরে যেন কমিটিতে আর বিতর্কিত কেউ স্থান না পায়। পরে যে কমিটি পুর্নগঠন করা হবে, তা যেন বানরের রুটি ভাগ করার মতো না হয়। ছাত্রলীগের ত্যাগীরা বঞ্চিত হবে, এই মতাদর্শে আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, হামলার সুষ্ঠু তদন্তে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা এখনও আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হামলাকে বৈধতা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা, ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা সিকদার, তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।