নিজস্ব প্রতিবেদক : হত্যাকা- সংঘটিত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিলের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং আইজি প্রিজনকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের একটি জোড়া খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস ম-ল আদালতের তলবে হাজির হন। এরপর তিনি সংশ্লিষ্ট মামলার সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।
আদালতের তলবের পরিপ্রেক্ষিতে হাজির হন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি ওই মামলার সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। পরে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
গত বছরের ১ অক্টোবর দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদারকে (৫২) দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ সময় আনছার আলী দিহিদারের বসতবাড়ি ভাংচুর ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তন থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া আলাদা দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত দুই মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর জোড়া খুনের ঘটনায় হত্যা মামলাসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুয়াল ফকির, চৌকিদার আবুল শেখ, জুলহাস ডাকুয়া ও কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করে মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ফকির। কিন্তু নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আসামি শহিদুল ইসলাম ফকির।