অপরাধীচক্রের দৌরত্ম্য ঠেকাতে রাজধানীজুড়ে র‌্যাব পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা

অপরাধ এইমাত্র জাতীয়

ইসমাঈল ইমু : ঈদ ও রোজার শেষদিনগুলোকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও র‌্যাব ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রাজধানীতে ছিনতাই মলম পার্টি ও অপরাধীচক্রের দৌরাতœরোধে পোশাকধারী পুলিশের পাশপপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা মাঠে থাকবে। স্বর্নালঙ্কার ও লোভনীয় পোশাক পরে নারী পুলিশ সদস্যদেরকেও ছদ্মবেশে মাঠে নামানো হচ্ছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে পুলিশ রাজধানীর অভিজাত মার্কেট, শপিংমল ও বীপনিবিতান গুলোর দোকান মালিকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। বৈঠকে মার্কেটের সামনে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষি রাখা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মার্কের বাইরে এবং ভেতরে সক্রিয় সিসিটিভি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
এদিকে রাজধানীর চিহ্নিত অপরাধপ্রবণ এলাকা, শপিং মল এবং বাস টার্মিনাল এলাকায় স্থাপন করা হয় ৩০টি ক্যাম্প। সারা দেশে রমজান উপলক্ষে গঠন করা র‌্যাবের ২০টি বিশেষ দলের ১০টিই রয়েছে রাজধানীতে। র‌্যাব রমজানের শেষ সময় ও ঈদের আগমুহূর্তে টিকিট কালোবাজারি, টার্মিনাল, ঘাটে তৎপরতা বাড়িয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন নির্বিঘেœ কেনাকাটা করতে পারেন সে জন্য র‌্যাব মাঠে রয়েছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই রোধে র‌্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়া কারওরান বাজার, শ্যামবাজারসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ক্রেতা সেজে রয়েছেন গোয়েন্দারা।
সূত্র জানায়, ছিনতাই, ডাকাতি ও পকেটমার ধরতে অর্ধশত স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছেন। মৌচাক, মহাখালী, ফার্মগেট, মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন, গুলশান, নিউমার্কেট, গাবতলী, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, কারওয়ান বাজার, কমলাপুর রেলস্টেশনসহ রাজধানীর বিলাসবহুল শপিং মল ও মতিঝিলের বিভিন্ন ব্যাংক ভবন এলাকায় তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
নগর পুলিশ সূত্র আরো জানিয়েছে যেহেতু কয়েক হাজার হকার বেকার হয়ে পড়েছে-হকারদের একটি অংশ অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পুলিশকে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে অপরাধীচক্রের তৎপরতারোধে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নগরবাসী স্বস্তিতে আছে। ঈদের সময় তারা গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে নির্বিঘেœ ঘরে ফিরেছে। কারো তেমন কোনো সমস্য হয়নি। এবারও নানা কৌশল অবলম্বন করে পুলিশ সদস্যদেরকে মাঠে নামানো হয়েছে বেশিরভাগি রোজা চলে গেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত রোজায় উল্লেখযোগ কোনো অপরাধ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বাকী যে ক’টা দিনর আছে ভালভাবেই কেটে যাবে আশা করি। কারন নগরজুড়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া প্রতি থানা এলাকায় পুলিশ দিনরাত ফুট পেট্রলিং করছে। নির্দিষ্ট পয়েন্টে তল্লাশী হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *