বিশেষ প্রতিবেদক : অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশ। দুরবস্থার কারণে স্থানীয়দের কাছে আশীর্বাদের বদলে হয়ে উঠেছে অভিশাপ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকারের দ্বিমুখী নীতির কারণে এ অবস্থা। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জনগণ ও নগরবিদদের। ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
রাজধানীর চানখারপুল থেকে শনি আখড়া পর্যন্ত সাড়ে এগার কিলোমিটারের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ উড়াল সড়ক। নগরীর মানুষ এই ফ্লাইওভারটি সুফল পেলেও, নানা অব্যবস্থাপনা-অনিয়মের কারণে নিচ দিয়ে যাতায়াতকারীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল থেকে ঢাকার প্রবেশ পথ যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা অত্যন্ত ব্যস্ত ও জনাকীর্ণ হলেও রাস্তা পারাপারের কোনও ফুটওভার ব্রিজ কিংবা আন্ডারপাস নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হয় নারী, শিশু, বৃদ্ধ থেকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্টপেজ করা এবং যাত্রী ওঠা-নামানোর ক্ষেত্রে পরিবহনগুলোর নিয়ম মানার কোনও বালাই নেই। আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক লেগুনার চালক ও হেলপারদের আচরণে মনে হয় তারাই যেন এই রাস্তার রাজা, বাকি সবাই প্রজা।
ফ্লাইওভারের নিচে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। এমনকি গ্রিল দেয়ার পরও অবিবেচকদের হাত থেকে রেহাই মেলে না। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে খোলা আকাশের নিচে ব্যস্ত সড়কে রাখা হয়েছে ডাস্টবিন।
প্রশাসন ও সুবিধাভোগীদের যোগসাজশে এখানকার হকার বাণিজ্য কখনও বন্ধ হয় না। এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানালেন, নগরপরিকল্পনাবিদরা।
উড়াল সড়কের কাজলা অংশে উঠার একটি লেন এবং যাত্রাবাড়ী মোড়ে আন্ডারপাস নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করবেন বলে জানালেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন। শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, সমস্যার সমাধান চান, নগরবাসী।