স্বরূপকাঠি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি নিয়ে চরম অসন্তোষ

এইমাত্র রাজনীতি সারাদেশ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : রাজনীতির আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করা এখন চরম অনিয়মের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। হোক উপজেলা কিংবা জেলা শহর। চলতি সময়ে সব দলের রাজনীতির কমিটিতেও নীতির বাহিরে অনিয়মের বাসা বেঁধেছে। যথাযথ নিয়মনীতি ছাড়াই হরহামেশাই চলছে কমিটি কমিটি খেলা। দলের আদর্শের কথা ভুলে যেতে বসেছে নেতাকর্মীরা। অছাত্র বা অযোগ্য হয়ে স্ব স্ব বড় বড় পোস্ট পজিশন তৈরী করে নিচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। দেশে ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতির কারণে কোমলমতি ও মার্জিত স্বভাবের শিক্ষার্থীরা রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করতে চায় না। আর এ ধারা বিরাজ করছে সমগ্র রাজনৈতিক দলের মাঠে। বাদ যায়নি পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ছাত্রলীগের রাজনীতির মাঠ। যদিও উপজেলা ছাত্রলীগ স্বরূপকাঠি উপজেলায় সুসংগঠিত। শুধু মাত্র স্বরূপকাঠি পৌরসভার কমিটির মধ্যে সঠিক নিয়মনীতি ছাড়াই হরহামেশাই চলছে কমিটি। গত ২২-০৭-২০১৭ সালে স্বরূপকাঠি পৌরসভার কমিটি গঠন নিয়েও কমবেশি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। কমিটি নিয়ে কম বেশী বিতর্ক ছিল কিন্তু চলতি সময়ে স্বরূপকাঠি পৌরসভার রাজনীতির মাঠে সভাপতি অনুজ আচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ বিবাহিত হওয়ায় প্রশ্ন উঠে। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে কমিটির মধ্যে তুষের আগুন জ্বলছে। শুধুই অনুজ রিয়াজ নয় মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটির মধ্যে আরও বিবাহিত রয়েছে। আর এনিয়ে পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গুঞ্জন উঠেছে আর কত। যদিও বিবাহিত নেতারা পড়েছে মহাবিপাকে।
এদিকে স্বরূপকাঠি পৌরসভার কিছু নেতাকর্মীরা নাম না প্রকাশের শর্তে মিডিয়াকে বলেন, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজকে নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। গত সপ্তাহ স্থানীয় প্রশাসন রাত দ্বি প্রহরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজকে গ্রেফতার করে। যদিও প্রশাসন সুকৌশলে পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে মুহুর্তের মধ্যে ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে সর্বমহলে। সর্বশেষ মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটির বিষয়ে জেলার নেতাদের সাথে কথা হয় মিডিয়ার। জেলার নেতারা বলেন, স্বরূপকাঠি পৌরসভার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে এবারের কমিটিতে বিতর্কিত কোন নেতাকে স্থান দেওয়া হবে না বলে জানান। আর বিবাহিত প্রমান হলে এমনিতে বাদ হয়ে যাবে। জেলা নেতারা দৃঢ় চিত্তে বলেন, ছাত্রলীগ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও গৌরবের ইতিহাস। ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলাসহ জেলায়ও কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বেশ সচেতন।
এদিকে স্বরূপকাঠি পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিডিয়ার ফোন পেয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কোন প্রশ্নেরই জবাব দেয়নি মিডিয়াকর্মীদের। তবে পৌরসভার সাধারণ নেতাকর্মীরা মিডিয়াকে বলেন, আমরা নুতন কমিটি চাই। আর বিতর্কিত নেতা কর্মীদের বাদ দেওয়ার পক্ষে মতামত দেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *