ইসমাঈল হুসাইন ইমু : বাস ট্রেনের মত হাকডাক দিয়ে ঈদের সময় টিকিট বিক্রি হয়না বিমানের। তবে টিকিটের জন্য তোড়জোড় বেশ আগেভাগেই শুরু হয়। তাই এবারের ঈদুল ফিতরের সময়ের প্রায় ৮০ শতাংশ টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি যেসব টিকিট এখনো বিক্রি হয়নি তার নাগাল পেতে মূল্য দিতে হবে তিন গুণ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানান, চাহিদা বেশি থাকায় ৩ জুন ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে অতিরিক্ত একটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এছাড়া ৪ জুন ঢাকা-জেদ্দা ও ঢাকা-দাম্মাম রুটে দু’টি অতিরিক্ত ফ্লাইট উড়বে। কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংকক রুটে বিমানের প্রায় সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া কক্সবাজার রুটেও টিকিটের একই অবস্থা। চাহিদার কথা মাথায় রেখে ঈদে ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে অতিরিক্ত ৭টি, ঢাকা-রাজশাহী রুটে অতিরিক্ত ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। সবমিলিয়ে ঈদের সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ রুটে মোট ১১৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে জাতীয় পতাকাবাহী এই এয়ারলাইন্স।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে গড়ে ৮৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুরের টিকিট প্রায় ৯৫ শতাংশ বিক্রি হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক তিনটি গন্তব্যে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করছি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ঈদে টিকিটের চাহিদা অনেক। অতিরিক্ত ৬৩টি ফ্লাইট অভ্যন্তরীণ রুটে বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুর রুটের টিকিট অনেকটাই শেষ। আর অভ্যন্তরীণ রুটের মধ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজার রুটের টিকিট সব এয়ারলাইন্সেরই বিক্রি হয়ে গেছে।
বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ অভ্যন্তরীণ রুটে শুধু চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঈদে তাদের কক্সবাজার রুটের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
এদিকে বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার সূত্র জানিয়েছে, এবারের ঈদে টিকিটের চাহিদা কম। গড়ে ৬০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। যদিও নভোএয়ার দেশের বাইরে শুধু কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।