নিজস্ব প্রতিবেদক : ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ।
শনিবার সকালে জয়দেবপুর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের (বিজেআরএফ) সহায়তায় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্য “মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় তৃণমূল চিত্র এবং জাতীয় ইতিহাস” শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী আতাউর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক, অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক,
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ.কে.এম হাফিজ আক্তার, অধ্যক্ষ এম.এ বারী, সাংবাদিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল বারী, শহীদ হুরমুতের কন্যা প্রভাষক হালিমা খাতুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউর রহমান, অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, সাংবাদিক নেতা এমএ সালাম শান্ত, নূরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মজিবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমান উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন,
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর সোসাইটির সাধারণ সম্পাদ মোস্তফা কামাল হুময়ুন হিমু প্রমুখ।
কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করা যাবেনা। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আরও তথ্য বহুল সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তার খুব কাছে থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম।
আমরা ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি চাই।
সভায় গাজীপুরে একটি ঊনিশে মার্চ যাদুঘর ও একটি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা এবং ঊনিশে মার্চ নামে জয়দেবপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাতায়াতকারী ট্রেনের নামকরণ করার জন্য দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে গত ৮ জানুয়ারি ২০২১ জাতীয় প্রেসক্লাবে এবং গত ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পৃথক দুটি মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।