নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যা মামলায় আসামি পিন্টু দেবনাথকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেক আসামি বাপানে ভৌমিককে সাত বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যায় সংশ্লিষ্টতা না থাকায় মামলাটি থেকে খালাস পেয়েছেন এলাকার ‘বড়ভাই’ খ্যাত আব্দুল্লাহ আল মামুন। বুধবার দুপুরে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীর হত্যার প্রধান আসামি পিন্টু দেবনাথ ও বাপানে ভৌমিক। এ ছাড়া জামিনে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত প্রবীর হত্যা মামলায় আসামি পিন্টু দেবনাথের মৃত্যুদন্ড, বাপানে ভৌমিকের সাত বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলার চার্জশিট দাখিল হয় আদালতে।
গত বছরের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। পরে ৯ জুলাই শহরের কালীরবাজার এলাকা থেকে পিন্টু দেবনাথ ও বাপানে ভৌমিককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, রাতেই শহরের আমলাপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১০ জুলাই এই দুইজনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর নিখোঁজের পর খুন হন ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় স্বপন হত্যা নিয়ে তথ্য দেন বাপানে ভৌমিক। এরইমধ্যে স্বপনের বড়ভাই অজিত কুমার সাহা গত ১৬ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি হত্যা ও গুমের মামলা করেন। সেখানে পিন্টু, বাপান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রত্না চক্রবর্তীকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া প্রবীর ঘোষ হত্যার ঘটনায়ও তাদেরই আসামি করে মামলা করেন তারই ভাই বিদ্যুৎ সাহা।
এদিকে, এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী বিদ্যুৎ সাহা। তিনি বলেন, রায়ে এক আসামিকে খালাস দেওয়ায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আমার ভাই হত্যার সঠিক বিচার হলে ও দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পেলেই আমাদের পরিবার শান্তি পাবে।