বাউনিয়া খালে চলছে দখলদারদের রাজত্ব

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাউনিয়া খালে চলছে দখলদারদের রাজত্ব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দখল উচ্ছেদে বিষফোঁড়া বৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী স্থাপনা আর আদালতের স্থগিতাদেশ। এখন বাকি দখলদাররাও ঝুঁকছেন সেদিকেই। আইনজীবীরা বলছেন, খাল দখল হয়েছে ভুয়া কাগজে। আর সিটি করপোরেশন খালের জায়গা ক্রয়-বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় আনার চিন্তা করছে।
বাউনিয়া খালের হাত ধরে বাইশটেকি খাল। পুরো চ্যানেলের কোথাও ৬০ ফিট, কোথাও ৪০ ফিট থাকলেও হঠাৎ করেই তা হয়ে যায় ১০ ফিট। সেটি আবার প্রশস্ত হয় কিছুদূর গিয়েই। এতে খালের চ্যানেলটি সরু হওয়ায় ব্যাহত পানির স্রোত। পরিস্কার করলেও আবারো ভরাট হয়ে যায় ময়লা জটে।
ভাসমান ও ছোট স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও খালের পাড় ঘেঁসে থেকেই গেছে বড় কংক্রিটের স্থাপনা। উচ্ছেদে এসব স্থাপনায় হাত না দেয়ায়, বাকিরাও জোরেশোরেই চালাচ্ছে ভবন নির্মাণ, রাস্তা পাকা ও খালের মাঝেই দেয়াল তোলার কাজ। ফলাফল, বদ্ধ পানিতে ভাসছে ময়লা। মিরপুরের লোহার ব্রিজ এলাকার মানুষ জলবদ্ধতার শিকার। আর বাইশটেকিতে মশার রাজত্বে অসহায় মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, অনেকে জায়গা কিনে খাল ভরাট করে ফেলেছেন। এখানে আছে ৩০ ফিট, খালের জায়গা হলো ৪০ ফিট। সামনে কিন্তু ৬০ ফিট রয়েছে।
খালের জায়গা খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, পুরো খালই দখলদারের রাজত্বে।
পরিবেশ আইনজীবীরা অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, বর্তমানের সব দখলই মূলত ভুয়া কাগজপত্রে।
উত্তর সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা বলেন, খালের জায়গা ক্রয় বিক্রয়ে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তবে সিটি করপোরেশনের আওতায় আসার পর বেশ কিছু খাল এরইমধ্যে পেয়েছে স্বাভাবিক স্রোত।


বিজ্ঞাপন