নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত শেষ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাতে এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা বহরে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল।
ঈদের দিন যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবারই প্রথম চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সাদা ও পোশাকে মোট এক হাজার ২০০ পুলিশ, ১০০ র্যাব সদস্য এবং পাঁচ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ৩২টি নিরাপত্তা চৌকি থাকবে। ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ করবে স্ট্রাইকিং ফোর্স।
শনিবার দুপুরে শোলাকিয়া মাঠের প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, মুসল্লিরা যেন নিরাপদে ঈদগাহে নামাজ পড়ে নিরাপদে যাতে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বহিরাগতদের উপর নজরদারি করতে এরই মধ্যে মাঠের আশপাশের বাসাবাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে শোলাকিয়া মাঠে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না মুসল্লিরা।
এদিকে সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ এফতেখার উদ্দিন জানান, এবারই প্রথম র্যাবের নিরাপত্তা বহরে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল। মাঠের চারপাশে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। পোশাকি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে মাঠের ভেতরে-বাইরে গোয়েন্দা নজরদারি। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমন করা হবে কঠোর হাতে।
তিনি বলেন, মাঠের চারপাশে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। দূরবর্তী কোনো স্থানে যদি কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চোখে পড়ে সেক্ষেত্রে ওয়াচ টাওয়ারে অবস্থান নেওয়া স্নাইপাররা স্নাইপিং রাইফেল দিয়ে ব্যাবস্থা নেবে। সবচেয়ে খারাপ ইনসিডেন্ট হতে পারে এমন ধারণা মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের নামাজে শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে দুই পুলিশ সদস্য, এক এলাকাবাসী এবং এক হামলাকারী নিহত হন।