মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইল : নড়াইলে মুখোশধারী দুর্বৃত্বদের আগুনে হিন্দু পরিবারের ঘর পুড়ে ছায়,রাস্তায় রয়েছে হিন্দু পরিবার।
এলাকার মূর্তি ভাংচুর, অসহায় নারীর জায়গা দখল, এবার অদ্বৈত বিশ্বাস (৩২) কে হাত-পা-মুখ বেধে মারধর করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ব।
রোববার (২১মার্চ)গভীর রাতে নড়াইলের নড়াগাতি থানার মাউলি ইউনিয়নের মহাজন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘরে আগুন দেবার পর অদ্বৈত বিশ্বাস নিজেকে রক্ষা করতে বারান্দা থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে উঠানে আসেন। তার একখানাই ঘর,তা পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।
অদ্বৈত বিশ্বাস একজন রং মিস্ত্রি, এ সময় তিনি ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না।
তার মেয়ে প্রত্যাশা বিশ্বাস (১২) ছেলে প্রীতম বিশ্বাস (৫) কে নিয়ে স্ত্রী মল্লিকা বিশ্বাস বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন।
অদ্বেত বিশ্বাস জানান, এক বছর আগে এলাকার দুজন মানুষের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেন, সময় মতো সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি এবং তারা প্রায়ই তার কাছে টাকা চাইতো, মাঝে মধ্যে ভয়ভীতিও দেখাতো।
তিনি ওই দুজন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে চাননি,তিনি বলেন, রাত ৩টার দিকে বাহ্যিক কাজ সারতে ঘরের বাইরে বের হলে ৫ থেকে ৬জন মুখে কাপড় বাধা লোক আমার মুখ চেপে ধরে হাত-পা-মুখের ভিতর কাপড় গুজে দিয়ে চড়-লাথি, কিল, ঘুষি মারতে থাকে, এ সময় একটি বোতল থেকে কি পদার্থ ছিটিয়ে দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
নিজে বাচাঁতে ওই অবস্থায় বারান্দা থেকে গড়িয়ে বাড়ির উঠানে চলে আসি আমি, গরীব মানুষ আমার সব কিছু আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে, মাথা গোজার আশ্রয়টুকু নেই।
জেলা পরিষদ সদস্য মো:হাদিউজ্জামান বলেন, একটি প্রভাবশালী চক্র এর আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের মূর্তি ভাংচুর, অসহায় নারীর জায়গা দখলসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
তিনি মনে করেন হিন্দুদের এখান থেকে তাড়ানোর জন্যই এই অপকর্মগুলো করে আসছে, এদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন।