শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

অর্থনীতি এইমাত্র ঢাকা রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক : ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে অধিকাংশ সরকারি, বেসরকারি অফিসপাড়া ফাঁকা থাকলেও উল্টো চিত্র দেখা গেছে ব্যাংকপাড়ায়। সোমবার রাজধানীর মতিঝিল, দৈনিকবাংলা, কাকরাইল, পল্টন ও বিজয়নগর এলাকার ব্যাংকগুলোতে ভিড় করেছেন গ্রাহকরা। প্রতিটি ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা ও উত্তোলনে কাউন্টারের সামনে দেখা যায় গ্রাহকদের লম্বা লাইন। তাদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
এদিকে, সোমবার রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় উত্তরা ব্যাংকের লোকাল অফিস, ডাচবাংলা ব্যাংকের মতিঝিল ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্রাঞ্চ, প্রাইম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল), ইসলামী ব্যাংক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের কাকরাইল শাখাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ঘুরে দেখা গেছে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথেও দেখা গেছে লাইন ধরে লোকজন টাকা তুলছেন। তবে, ডাচ বাংলা ব্যাংকের অধিকাংশ এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। ব্যাংকটির অধিকাংশ এটিএম বুথে সাটার লাগানো। বিশেষ করে সিঙ্গেল এটিএম বুথগুলো থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে না।
এদিন, মতিঝিলের ইউসিবিএল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় টাকা তুলতে আসা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভাই সকাল সাড়ে ১০টায় ব্যাংকে এসেছি টাকা তুলতে। এখন প্রায় সাড়ে ১১টা বাজে, লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। হয়ত আরো কিছুক্ষণ সময় লাগবে টাকা তুলতে। একই কথা বলছিলেন, কাকরাইল সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক রেহানা সুলতানা। তিনি বলেন, ঈদের কারণে ব্যাংকগুলোতে অন্য দিনের তুলনায় ভিড় বেশি হবে। এটা মেনে নিয়েই অপেক্ষা করছি। রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় প্রায় সব ব্যাংকের শাখায় একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, কাকরাইল সোনালি ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ঈদের আগে ব্যাংকে গ্রাহকদের ভিড় বাড়াটা স্বাভাবিক। তবে, আজ শেষ কর্মদিবস হওয়ায় ভিড়টা অন্যদিনের তুলনায় আরো বেশি। ব্যাংকে লেনদেন শুরুর আগেই অনেক গ্রাহক ব্যাংকের গেইটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, বাড়তি গ্রাহকের সেবা দিতে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে, আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে।
অন্যদিকে, উত্তরা ব্যাংকের লোকাল অফিসের ডিজিএম মুকশেদুল রহমান বলেন, গ্রাহকরা যাতে ঈদের আগে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন সেজন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ঈদের আগে কোনো কর্মকর্তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। বরং শনিবার বন্ধের দিনেও আমাদের অধিকাংশ ব্যাংকের শাখা খোলা ছিল এবং কর্মকর্তারা অফিস করেছেন।
অন্যদিকে, এটিএম বুথে সমস্যার বিষয়ে ডাচবাংলা ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সগির আহমেদ বলেন, ব্যাংকের সফটওয়্যারে কিছু ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গত শনিবার থেকে কোনো কোনো বুথে টাকা তোলা যাচ্ছে না। এই ক্রটি আজও কোনো জায়গায় রয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি এটা সমাধান করতে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *