রোকসানা রুনু : আসন্ন ঈদুল ফিতরে দর্শনার্থীদের মনোরম পরিবেশে বিনোদনের ব্যবস্থা করতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে পিরোজপুরের বিনোদনকেন্দ্রগুলো। দর্শনার্থীদের কাছে এগুলো আকর্ষণীয় করতে বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র পার্কগুলোর বিভিন্ন বিনোদনের মাধ্যমগুলো মেরামতের পাশাপাশি দিন রাত কাজ করে স্থাপন করা হচ্ছে নতুন নতুন রাইড।
জেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পিরোজপুর ডিসি পার্ক। পার্কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বলেশ্বর নদী। এই নদী থেকে ছুটে আসা ঝিরি ঝিরি বাতাস পার্কের ঝাউবনে সৃষ্টি করে সুমধুর ছন্দের।
আর পার্কের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রং বেরং এর ফুল এবং খাঁচায় রাখা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি নজর কাড়ে যে কারও। তাই সারাবছরই কম বেশী দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে পিরোজপুর ডিসি পার্কে।
আসন্ন ঈদে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করতে মেরামত করা হচ্ছে বিভিন্ন রাইডগুলো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে পার্কটি। তবে পার্কে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের দাবি পার্কটিকে আরো আধুনিকায়ন করা হলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাবে।
পিরোজপুরের ৭টি উপজেলার মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় একটি এবং ভান্ডারিয়া উপজেলায় দুইটি পার্ক রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় পার্কটি ভান্ডারিয়া উপজেলার কঁচা নদীর পাড়ে হরিণপালা গ্রামে অবস্থিত। এছাড়া ঈদের কয়েক দিন ধরে পিরোজপুরের এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের থাকেবে উপচেপড়া ভিড় এমনটাই আশা পার্ক কর্তৃপক্ষের।