দলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান বাবুলের বিরুদ্ধে অনাস্থা ও কার্ড বিতরণ উৎকোচ দাবির অভিযোগ

সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বাবুলের বিরুদ্ধে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বিতরণ উৎকোচ দাবির অভিযোগ উঠেছে। এবং চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য গণ লিখিতভবে অনাস্থা জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

গত ২৯ শে মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন অত্র ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোছাঃ ফিরোজা বেগম এবং শ্রীমতি স্বপ্না রানী রায় নামের দুজন সুবিধাভোগী। এবং গত ১ লা এপ্রিল বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য সদস্যাগণ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত বাবে অনাস্থা জানিয়েছেন।

সুবিধাভোগী ব্যক্তির লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে যে, বিগত চারবছর ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১০ টাকা কেজি দরে চাল উত্তোলনের সুবিধা ভোগ করলেও গত ২২/৩/২০২১ তারিখে আমি পুর্বের ন্যায় চাল উত্তোলন করতে গেলে জানতে পারি একই কার্ড দুজন ব্যক্তির নামে থাকায় চাল কতৃপক্ষের নিদের্শ ছাড়া দেয়া সম্ভব নয় বলে জানান ডিলার মোজাম্মেল।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্বপ্না রানী ও ফিরোজা বেগমের স্বামী জানান, আমাদেরকে কয়েকদিন পুর্বে চেয়ারম্যান চকিদার দিয়ে ডেকে পাঠান, আমরা দেখা করলে চেয়ারম্যান আমাদের নিকট কার্ড বহাল রাখার জন্য টাকা দাবী করেন। দাবিকৃত টাকা দিলে আমাদের কার্ড বহাল থাকবে নয় তো বাতিল করে অন্যজনকে দেয়া হবে বলে জানান চেয়ারম্যান। আমরা দরিদ্র ও দিনমজুর হওয়ায় চেয়ারম্যানের দাবিকৃত অর্থ দিতে না পারায় চেয়ারম্যান আমাদের চলতি কার্ড বাতিল করে অন্য দুজন ব্যক্তি জরিফুল ওনিখিলের নামে বরাদ্দ করেন। বিষয়টি আমরা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।

এ বিষয়ে ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাফি বলেন, কার্ড দুটি আমি তাদের দিয়েছি তারা দীর্ঘ সময় ধরে চাল উত্তোলন করছেন। হঠাৎ চেয়ারম্যান তা বাতিল করে অন্য ব্যক্তিদের দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বাবুলের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যা করেছি সঠিক করেছি। আমি কাউকে পরোয়া করিনা। অনেক সাংবাদিক দেখেছি।বলে লাইন কেটে দেন।

উক্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নানা অনিয়ম প্রকাশিত হলে এক পর্যায়ে তিনি সংবাদকর্মীদের নামেও থানায় অভিযোগ জানিয়ে ভয় ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেন।

এছাড়াও গত ১ লা এপ্রিল ইউপি সদস্য-সদস্যাগন উক্ত চেয়ারমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে লিখিতভাবে অনাস্থা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সাধারণ ভোটারগণের উক্ত চেয়ারম্যান সম্পর্কে নাগরিক হয়রানীসহ নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।