চিড়িয়াখানায় পর্যাপ্ত প্রাণী নেই অভিযোগ দর্শনার্থীদের

অপরাধ এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক : সরকারি হিসেবে আড়াই হাজারেরও বেশি প্রাণী থাকার পরিসংখ্যান থাকলেও জাতীয় চিড়িয়াখানায় সে পরিমাণ প্রাণী না থাকার অভিযোগ করছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের অবকাশে হতাশ হতে দেখা যাচ্ছে নবীন দর্শনার্থীদের, ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরাও। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায়।
চিড়িয়াখানার প্রবেশমুখে বানরের খাঁচা। এখানে বানরের সংখ্যা ২০টির মত। অন্য প্রান্তের বানরের খাঁচাগুলোও তেমন প্রাণবন্ত নয়। যদিও সরকারি হিসেবে ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপ শ্রেণির ২৫৭ প্রাণীর মধ্যে বানর থাকার কথা শতকের ঘরে।
শিশু দর্শনার্থীরা বলেন, বানর খুবই কম। সিংহ পায়নি। বাঘ ঘুমিয়ে আছে। সংখ্যাও কম। দেশের প্রধান এ চিড়িয়াখানায় বাঘের দেখা পাওয়া যায় ৬টির মত। ফাঁকা দেখা যাবে ভারতীয় সিংহসহ অনেক খাঁচাই। উটপাখি বা ভোদরের বিচরণ ক্ষেত্রেও নেই প্রাণবন্ত ছোটাছুটি। পানির কুমিরের ডাঙায় অলস পড়ে থাকাতেও ব্যাপক ক্ষুদ্ধ সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসা অভিভাবকরা।
তারা বলেন, দেশের বাড়িতে যারা যায় না তারা এখানে আসে বাচ্চাদের আনন্দ দিতে। এসে যদি দেখে খাঁচাগুলো ফাঁকা তাহলে ওরা কি দেখবে!
তবে এসব অভিযোগকে উড়িয়ে দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার কিউরেটর ড. এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, বাঘ, সিংহ, হাতি, জেব্রা, জিরাফ- এরকম গুরুত্বপূর্ণ ১৪৮ প্রজাতির ২ হাজার ৭৯২টি প্রাণী আছে। প্রাণীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে, জলহস্তী আছে ১৪টি।
জাতীয় চিড়িয়াখানায় আরেক ভোগান্তির নাম বাইরের হকার। কর্তৃপক্ষের নানা ঘোষণার পরও নানা উপায়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন তারা। দর্শনার্থীরা বলেন, ২ টাকার জিনিস ১০ টাকা নেয়। বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের হাত থেকে টাকা নেয়।
অবকাঠামো উন্নয়নসহ জাতীয় এ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় চিড়িয়াখানার শূন্য খাঁচার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা চোখগুলো বলে দেয় মানুষ একটু অবসর চায়। চায় একটু বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ। আর সেজন্য ঈদ যেন এক উত্তম উপলক্ষ। রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মান আরও উন্নত হোক এমনটাই প্রত্যাশা সবার।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *