বিশেষ প্রতিবেদক : শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করছে দুদক। সোমবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
ইকবাল মাহমুদ জানান, ডিআইজি মিজানের দুর্নীতি তদন্তে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করা হয়নি বলেও জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কমিশনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
এ ঘটনায় দুদক সম্পর্কে মানুষের আস্থা সংকট দেখা দেবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনে ৮৭৪ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা দুদক পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আর সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ও ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই আমি মনে করি জনগণের আস্থা সংকটের কিছু নেই।
পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান সম্পর্কে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া সমান অপরাধ। এখানে ঘুষের প্রকৃত লেনদেন হয়েছে কিনা সেটিরও তদন্ত করবে দুদক। অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না।