স্বরূপকাঠিতে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় হত্যার হুমকি দিয়ে বাদীকে বাড়ী ছাড়া করার পায়তারা

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র বরিশাল সারাদেশ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : জাতীর জনকের আদর্শে বিশ্বাসী গুয়ারেখা ইউনিয়নের বাসিন্দা নিহার রঞ্জন বেপারি রাজনীতির গ্যাঢ়াকলে পড়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন যাপন করছে। প্রতিনিয়ত হত্যাসহ নানান হুমকি-ধামকিতে জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। গতকাল জেলার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক গুয়ারেখার বিশাল বাজারে গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় সূত্র ও এলাকার লোকজন জানান, গত ৩১-০৩-২০১৯ তারিখে এলাকার কিছু বিপথগামী আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিশাল বাজারে এসে আওয়ামী লীগের ও নির্বাচনী অফিস ভাঙ্গচুর করে। এ সময়ে এলাকার লোকজন ভয়ে আঁতকে উঠে। সন্ত্রাসীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করে। পাশাপাশি নির্বাচনী পোস্টারও ছিড়ে ফেলার দুঃসাহস দেখায়। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা নিহার রঞ্জন বেপারি কঠিন প্রতিবাদ করেন। কিন্তু স্থানীয় সন্ত্রাসীদের তোপের মুখে টিকতে না পেরে অবশেষে দলের টানে আইনের আশ্রয় নেন দলের নিবেদিত কর্মী নিহার রঞ্জন বেপারি। আর পরবর্তীতে মামলা করার কারণে সমাজে প্রভাব শালীদের রোশানলে পড়ে আজ জীবন হুমকির মুখে।
এ ব্যাপারে বিশাল বাজারের বহু লোকজন নাম না প্রকাশের শর্তে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, দেশে আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নাই। পাশাপাশি নিহারও চরম হতাশা নিয়ে কান্নারত ভাষায় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে রাগ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সরেজমিনে ঘটনা স্থলে যাওয়ার পর গুয়ারেখা ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক মানুষ মিডিয়ার সামনে সত্য ঘটনা তুলে ধরেছেন। দলের আধিপত্য বিস্তার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির গ্রুপিংয়ের কারণে নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকায় আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদীরা গত ৩১শে মার্চে বিশাল বাজারে হামলাসহ ভাঙ্গচুর করে। এলাকার বিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মিডিয়াকে জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির গ্রুপিংয়ের কারণে এহেন ঘটনার সৃষ্টি হয়। ঐ সময়ে নিহার রঞ্জন বেপারি বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেন। মামলার তদন্তের অফিসার ছিলেন এসআই সঞ্জয়।
পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা জেনে ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা হয়। মামলার প্রধান আসামি হলেন অন্তিম বিশ্বাস পুলক (৩৫), অর্ণব ঠাকুর (৩০), দিপঙ্কর ঢালী(৩৫), গোপাল মন্ডল (৪৮), প্রবিত মন্ডল(৫০), সুজিত বৈরাগী(৪০) সহ আরও বহু আসামি।
এদিকে ঘটনার প্রধান সাক্ষী এলাকার জনপ্রিয় ইউপি সদস্য শুভাংকর মন্ডলকে হুমকি দিচ্ছে। মামলার বাদি নিহারকে হত্যাসহ নানান ভাবে হুমকি দিয়ে এলাকা থেকে তাড়ানোর পায়তারা চালাচ্ছে। মামলার আসামীরা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যা এলাকায় না গেলে বুঝা মুসকিল। আসামির বেশীরভাগ লোকজন প্রভাবশালী বিধায় টাকার জোড়ে অনেক কিছু করতে পারে বলে এলাকার সচেতন নাগরিকরা মিডিয়াকে জানান। সর্বশেষ নেছারাবাদ থানার তথ্যমতে আসামীরা জামিনে রয়েছে। আর এ সুযোগে আসামীরা বাদীসহ সাক্ষীদের জীবন নাশের হুমকি-ধামকি দেওয়ার সাহস পাচ্ছে বলে বাদিসহ সাক্ষীরা মিডিয়াকে জানান।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *