বিশেষ প্রতিবেদক : অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার দেড় বছরেও ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক জানান, পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিআইজি মিজান। আর পুলিশ সদর দফতর বলছে, তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন, জোরপূর্বক বিয়ে ও ক্ষমতার অব্যবহারসহ নানা ঘটনায় আলোচিত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে করা পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পায়। তার এ ধরণের কর্মকা- পুলিশ বিভাগসহ সরকারের ভাবমূর্তিকে দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে কমিটি।
তদন্ত প্রতিবেদনে ডিআইজি মিজানকে সহায়তা করার প্রমাণ মিলেছে তার গাড়ি চালক এবং অর্ডারলির বিরুদ্ধে। ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও।
তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানান, দেড় বছর আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে মিজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেছে এবং অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসারের কাছ থেকে কোনা ফেভার নেওয়ার জন্যই হয়তো ঘুষ দিয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরও বলছে, যেহেতু পুলিশের ডিআইজির বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দফতর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না, তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায়ই ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বাড়তি কোনো সুবিধা পাবেন না, এবং পাচ্ছেন না। বিষয়টি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে রয়েছে তারা সিদ্ধান্ত দিবেন।
প্রায় দেড় বছর আগে এ রিপোর্ট জামা দেওয়া হলেও মন্ত্রণালয়ের তদন্তের দোহাই দিয়ে এখনো ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।