রোজিনা ইসলামের সুবিচার পাওয়ার বিষয়টি দেখছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কারাগারে থাকা প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ হেফাজতে কারাগারে রোজিনা ইসলাম যেন সঠিক মর্যাদা পান তা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও আশ্বস্ত করেছেন তিনি সঠিক মর্যাদা পাবেন। রোজিনা ইসলাম যাতে সুবিচার পান সেই বিষয়টি দেখছে সরকার। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও দায় থাকলে তারাও তা এড়াতে পারবেন না।’


বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের করোনাকালীন দ্বিতীয় পর্যায়ের চেক বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের ৯০ জন সাংবাদিকের হাতে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদান তুলে দেওয়া হয়।

রোজিনা ইসলামের মামলার বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেহেতু একটি মামলা হয়েছে– তিনি যাতে ন্যায়বিচার পান, তার প্রতি কোনোভাবে যাতে অন্যায় না হয় সেটি আমরা দেখছি। সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। এ বিষয়ে সরকার ন্যায়বিচার করতে বদ্ধপরিকর।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনের মাধ্যমে যে কেউ যেকোনও তথ্য সরকারের কাছে চাইতে পারে। তথ্য কমিশনের মাধ্যমে শুধু সে তথ্যই তিনি পাবেন না যেটা নন-ডিসক্লোজার আইটেম। এক্ষেত্রে গোপন নথি পাচার অন্যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামের মামলার ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।’

তথ্য কমিশনের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে যেকোনও তথ্য পেতে হলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি মন্ত্রণালয়ে পাওয়া না যায় তাহলে তথ্য কমিশনে আবেদন করা যায়। ২০১৪ সালে তথ্য কমিশন গঠিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ১৯ হাজার ৮৩১টি আবেদনের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’

তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেকোনও মন্ত্রী বাংলাদেশে দুটি শপথ গ্রহণ করেন। একটি হচ্ছে মন্ত্রী হিসেবে শপথ, অন্যটি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষার শপথ। সে শপথ আমাকেও নিতে হয়েছে। যেহেতু আমি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার শপথ গ্রহণ করেছি, তাই মন্ত্রিসভায় কোনও কিছু আলোচনা হলে সেটি বাইরে বলতে পারি না। যেটি আমাকে বলতে বলা হবে শুধু সেটুকুই বলতে পারবো। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি বা অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি যেগুলো বাইরে প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে চুক্তিতে বলা আছে বা সেই দেশের অনুরোধ আছে, সেগুলো কখনও বাইরে প্রকাশ করতে পারি না। সেটি সংরক্ষণ করা যেকোনও মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।’

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটু প্রমুখ।