বিশেষ প্রতিবেদক : বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যেন লাগামহীন ডেঙ্গু। আষাঢ়ের প্রথমে বৃষ্টির পরেই রাজধানীতে মিলছে ডেঙ্গুর বাহক এডিসের লার্ভার উপস্থিতি। নগরবাসীর অসাবধানতা আর অসচেতনতায় এর বড় কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় এবারই প্রথম একইসঙ্গে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে ৬৪টি হাসপাতালের এক হাজার ৩৫০ জন চিকিৎসক ও ১৫৯ জন সেবিকাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস লেক রোড সতের, পাশাপাশি দুটি বাড়ি দুটিতেই দেখা যায় মশার বংশবিস্তার। বলতে গেলে ঘরের মধ্যেই জমে থাকা এসব পানিতে মিলছে এডিসের লার্ভা। অথচ খেয়াল নেই কারো। যেন দায়িত্বও নেই কারো।
চলতি বছর বর্ষার আগে করা জরিপে দেখা যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭ টি আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে। সিটি করপোরেশন বলছে রিপোর্ট আমলে নিয়েই ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। আর এবারে একই সঙ্গে কাজ করবে দুই সিটি।
ডিএসসিসি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরিফ আহমেদ বলেন, আমরা দুই সিটি করপোরেশন যে প্রোগ্রামের চিন্তা করেছি তা একসঙ্গে করবো।
ডিএনসিসি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততা পেলে আরো সুবিধা হবে।
পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধেও নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। রাজধানী ও এর আশেপাশে সরকারি ২৮ বেসরকারি ৩৬ হাসপাতালের ১৩৫০ জন চিকিৎসক ও ১৫৯ জন সেবিকাকে দেয়া হয়েছে ডেঙ্গু চিকিৎসার বিশেষ প্রশিক্ষণ। তবে স্বাস্থ্য অধিদপতর বলছে বিকল্প নেই সচেতনতার।
ডা. সামিয়া তাহমিনা বলেন, প্রত্যেকটা ডিরেক্টরের কাছে আমরা মেইল ও চিঠি পাঠিয়েছি। যে কারণে বড় পরিসরে প্রচারণায় শিগগিরই একযোগে মাঠে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশন।