আজকের শিশুরাই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মূল ভূমিকা রাখবেঃ ঢাদসিক প্রধান নির্বাহী ফরিদ আহাম্মদ

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিনিধি : আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মূল ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ। সোমবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে “জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন” আয়োজিত উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত কেন্দ্রিয় এ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন সংক্রান্ত এক কর্মশালায় ঢাদসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

ঢাদসিক প্রধান নির্বাহী ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চায়, আজকের শিশুরাই সেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আমাদেরকে একটি সুস্থ-সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের শারীরিক প্রতিরোধ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। আর শিশুদের সুস্থতার জন্য যেসকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অন্যতম।”

ঢাদসিক প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, “চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আমাদের নগর মাতৃসদন, বিভিন্ন হাসপাতাল, ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দের কার্যালয়, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র ইত্যাদিতে কিছুটা স্বল্প পরিসরে এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তাই যেসকল শিশুদেরকে লক্ষ্য করে এই টিকাদান কার্যক্রম, তাদের অভিভাবকগণ যাতে নির্দিষ্ট কেন্দ্র/স্থানে গিয়ে এই টিকা গ্রহণ করেন, সেজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে আমি সাংবাদিকবৃন্দকে আহ্বান জানাই।”

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই কর্মসূচি শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে ঢাদসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “এটি একটি জাতীয় কর্মসূচি। যেকোন ক্ষেত্রেই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্যাপসুল শুধুমাত্র অন্ধত্ব দূর করে এমন নয়। এটি শিশুদের পুষ্টিঘাটতিও পূরণ করে। তাই এই ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব অনেক।”

আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী ঢাদসিক এলাকায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে ঢাদসিক এলাকার ৬-১১ মাস বয়সী ৫৫,০৪৯ জন শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩,১৮,৭৫০ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাদসিক এলাকায় ১৪৮৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৯৭৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

ঢাদসিক’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এর লাইন ডাইরেক্টরের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন ঢাকা’র প্রতিনিধি, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি, গালর্স গাইড, রোভার স্কাউট ও রোটারী ক্লাবের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউপিএইচসিএসডিপি ও এনএইচএসডিপি’র প্রতিনিধি, ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমওগণ উপস্থিত ছিলেন।