প্রশ্ন ফাঁসে আটক ১২

Uncategorized

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

ডেস্ক রিপোর্ট : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজনকে এক বছরের কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া অপর তিনজনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে ঝিনাইদহে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র কেনা-বেচার সময় ছয়জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার সকালে তিনজনকে শহরের কৃত্তিপাশা মোড় এবং অপর তিনজনকে শিশু পার্ক এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে পরীক্ষার উত্তরপত্র লেখা কাগজ উদ্ধার করা হয়।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন জনান, এনএসআই’র ফিল্ড পরিদর্শক মো. আশিকুল ইসলামের সহায়তায় এক পরীক্ষার্থী ও তার স্বামী এবং ভাইকে পরীক্ষার উত্তরপত্র লেখা অবস্থায় ঝালকাঠির কৃত্তিপাশা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাছুমা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটক পরীক্ষার্থী মনীষা বিশ্বাস, তার স্বামী অসীম বিশ্বাস এবং ভাই কিশোর দেউড়িকে ১ বছরের কারাদ- প্রদান করেন। দ-প্রাপ্ত তিন জনই রাজাপুর উপজেলার রোলা গ্রামের বাসিন্দা।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার বলেন, পরীক্ষার আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উত্তর শুনে একটি কাগজে লিখছিল। এ সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।
এছাড়া পরীক্ষার আগে সকাল পৌনে দশটার দিকে ঝালকাঠি শহরের শিশুপার্ক এলাকা রাজাপুর উপজেরার বলাই বাড়ি গ্রামের থেকে নুরুল ইসলাম রিপন, ঝালকাঠি সদর উপজেলার চর ভাটারাকান্দার এলাকার রাশেদ গাজী ও খাগুটিয়া এরাকার সিয়াম হাওলাদার নামের তিন পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তারা পার্কে বসে মেসেঞ্জারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তরপত্র পেয়ে নোট করছিল।
আটককৃত তিন জনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান সদর থানার ওসি।
নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র কেনা-বেচার সময় ঝিনাইদহে আটক ৬ : ঝিনাইদহে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র কেনা-বেচার সময় ছয়জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার সকালে শহরের আরাপপুরের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- প্রশান্ত কুমার দাস, আবদুল মজিদ, আল মাউন, তাইনুর আলম, হাসান ইকবাল ও রিপন হোসেন। ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবির) ওসি জাহঙ্গীর আলম জানান, শহরের আরাপপুরের আবদুল মজিদের বাসায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেনা-বেচা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রশান্ত, আবদুল মজিদ, আল মাউন, তাইনুর আলম, হাসান ইকবাল ও রিপনকে আটক করা হয়। আটককালে তাদের কাছ থেকে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির ৬০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর খায়রুল ইসলাম জানান, পরীক্ষা শেষে আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে বিক্রি হওয়া প্রশ্নপত্র মেলানোর পর কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *