শেখ হাসিনাকে ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা ও ষড়যন্ত্র

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের জনসভায় গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন

ক্ষতিগ্রস্ত কান ও চোখের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। তাই চিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নেন তিনি। ১৫ মার্চ বিকালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রওনা দেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে।


বিজ্ঞাপন

চিকিৎসা শেষে এক মাসের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে জানান সবাইকে। সেই অনুসারে, সফর শেষে ২৩ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা ছিল শেখ হাসিনার। কিন্তু চিকিৎসা শেষে তার বাংলাদেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে এলে নতুন ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হলো তাকে।

২০০৭ সালের ১৮ এপ্রিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসনোটে জানানো হয়- ২৩ তারিখ শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এমনকি শেখ হাসিনাকে বহন না করার জন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে বার্তা পাঠানো হয় বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষ থেকে।

তাকে হুমকি দিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য রাখেন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা। তিনি দেশে এলে পরিস্থিতি ভালো হবে না বলেও ভয় দেখানো হয়।

কিন্তু বিতর্কিত সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি অগ্রাহ্য করে, নির্ধারিত ২৩ তারিখেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন দুঃসাহসী নেত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বঘোষিত সময়ে দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে ১৯ এপ্রিল বিকালে লন্ডনে পৌঁছান তিনি।

কিন্তু বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশনার কারণে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে তাকে দেশে ফেরার বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়নি।

এমনকি তার ফেরার প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে থামিয়ে দিতে, ২২ এপ্রিল, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তার নামে। এদিকে শেখ হাসিনার নির্দেশে, তার আইনজীবীরা সরকারি প্রেসনোটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বাধা দূর করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের রিট আবেদনের অনুমতি চান। এরপর, ২৬ এপ্রিল বিকালে, তার দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

অবশেষে, বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্র এবং বেসামরিকতার ছদ্মবেশে কিছু সামরিক সদস্য নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হুমকি ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, ৭ মে দেশে ফিরে আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

দেশে ফিরেই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলেন তিনি। কিন্তু তার অকুতোভয় কণ্ঠকে দাবিয়ে রাখতে, ১৬ জুলাই তাকে একটি সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়।