পিরোজপুর প্রতিনিধি : বহু অপকর্মের খলনায়ক বিএনপির সাবেক ক্যাডার কুনিহারির রুস্তম মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ বর্তমানে এলাকায় তুরুপের তাস। বর্তমানে সরকারি দলের বিশেষ ত্রাণকর্তা হয়ে সদর ইউনিয়নে রামরাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। এলাকায় নব্য আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। সরকারী প্রাইমারি স্কুলের গাছ কর্তনসহ স্কুলের কাঠের ঘর বিক্রিতে সহযোগিতার ঝুড়ি মেলা ভার। এলাকায় যাবতীয় কু কাজের ও কু-কর্মের মূল হোতা সাবেক বিএনপির ক্যাডার বর্তমানে হাইব্রিড নেতা ফরিদের অত্যাচারে জর্জরিত।
এদিকে বিতর্কিত ফরিদকে সমর্থন দিচ্ছে কুনিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর ফকির। অভিযোগের তীর সাবেক সভাপতি ক্যাডার ফরিদ ও বর্তমান সভাপতি জাহাঙ্গীরকে নিয়ে। স্থানীয় রাজনীতিকে পুঁজি করে এ চক্র সরকারি গাছ কাটা সহ স্কুলের কাঠের ঘর বিক্রির সাথে জড়িত থাকার প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সরেজমিনে জেলাসহ এলাকার মিডিয়াকর্মীরা কুনিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান আসল ঘটনা উদঘাটনের জন্য। মিডিয়ার প্রশ্নে স্কুল প্রধান শিক্ষিকা বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে গাছ কেটে নেওয়া হয়নি। তবে সভাপতি ও তার সহযোগীরা গাছ কেটে নিয়েছে স্কুল বন্ধ কালীন সময়ে হয়তো! আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষ আবেদন করে। কিন্তু ইউএনও স্যার গাছ কাটার অনুমতি দেয়নি। এদিকে বিতর্কিত কথা বলে ফরিদ আরও বিতর্কিত হয় মিডিয়ার সামনে। তবে সভাপতি গাছ কাটার কথা মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেন। ভিডিও ফুটেছে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।
এদিকে সরকারি গাছ কাটার অনুমতি দেয়নি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা। আলাপচারিতায় বলেন, আসলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সহযোগিরা নিজেদের ইচ্ছা মত গাছ কেটে ফেলে। আমি এলাকার লোকজনের অভিযোগ পাওয়ার পর বিষটি আমলে নেই। তবে নিয়ননীতি ছাড়া এ ভাবে গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে কুনিহারী এলাকায় স্কুলের গাছ ও কাঠের ঘর বিক্রির সাথে জড়িতরা এখনও বীরত্বের সাথে আছে।