নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দালাল ও প্রতারকচক্রের ২১ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপার্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর আঞ্চলিক কার্যালয়, চট্টগ্রাম এ দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রয়োজন যেমনঃ শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা বদলী, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়ন, ফিটনেস নবায়ন করার নাম করে এক শ্রেণির দালাল ও প্রতারক চক্র সরকার ঘোষিত নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার ১৩ জুন , বেলা ৩ টার সময় র্যাব-৭ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনা কালে আসামি ১। মোঃ পারভেজ (৩০), ২। মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৫), ৩। মোঃ ফোরকান (৪৮), ৪। মোঃ সোহেল (৪০), ৫। নুর আলম (৬০), ৬। মোঃ মুন্না (২৮), ৭। নাসিম উদ্দিন (৪৯), ৮। আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫), ৯। মোঃ জুবায়ের (২৭), ১০। রিপন দাস (২৫), ১১। বদিউল আলম (৬৪), ১২। মোঃ এনাম (২১), ১৩। মোঃ এমরান, ১৪। মোঃ আবুল কালাম (৪০), ১৫। মোঃ নজরুল ইসলাম (৪০), ১৬। মোঃ নাদিম (৪৫), ১৭। মোঃ সাইফুদ্দিন (২৯), ১৮। মোঃ মোরশেদ (২১), ১৯। মোঃ আব্দুল হান্নান (২৪), ২০। মোঃ খোরশেদ আলম (৩৫), ২১। সরোয়ার হোসেন (২৬), কে আটক করে ।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিকট হতে বিভিন্ন লাইসেন্স নবায়ন ফরম, রেজিস্ট্রেশন ফরম, মালিকানা বদলী ফরম, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়ন ফরমসহ গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া প্রতারণার ২,০০,০০০ টাকা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত দালাল ও প্রতারকচক্রের সদস্যরা বিআরটিএ আঞ্চলিক কার্যালয়ে আসা গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যা অতি দ্রুত সমাধানের নাম করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও অর্থ নিয়ে পলায়নসহ বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ভোগান্তি সৃষ্টি করে আসছে।
দালাল ও প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে সাধারণ গ্রাহকগণ স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।