নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) প্রকাশিত বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, একই সময়ে ভুটানের বিনিয়োগ কমেছে ১৬০ শতাংশ। সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্ট-২০১৯-এ বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সেখানেই এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) মো. আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২৫১ কোটি ১৬ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে সে বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। সে হিসাবে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। পাশের দেশ ভারতে ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৩ হাজার ৯৯০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, ২০১৮ সালে যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ২২৮ কোটি ৫৭ লাখ ডলারে। এতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে ৬ শতাংশ।
মালদ্বীপে ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে সে বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৫৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ নতুন বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ১২ শতাংশ। নেপালে ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে সে বিনিয়োগ দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ২৪ শতাংশ। পাকিস্তানে ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৩২৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে সে বিনিয়োগ দাঁড়ায় ২৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২৭ শতাংশ। শ্রীলঙ্কায় ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৩৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে সে বিনিয়োগ দাঁড়ায় ১৬১ কোটি ৫ লাখ টাকা। বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ভুটানে ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৯৯ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে সে বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ টাকা। বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ১৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ার কারণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন হওয়ায় এ দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে। দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতেই স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তিনি আরো বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেয়ার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে জাপানি টোব্যাকো কোম্পানির বিনিয়োগ প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ এলে আমরা না করতে পারি না। আমরা যে কোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।