আজকের দেশ রিপোর্ট : পেশাগত প্রয়োজনে এবং যুগ যুগ ধরে বহমান শিক্ষকতা পেশার প্রতিষ্ঠিত ধারার বাধ্যবাধকতা থেকেই সমাজের ও দেশের মাত্র একটি অংশ বা শ্রেনী এখনো অন্যায়, অনিয়ম ও অপরাধ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে গুরুজনেরা ছোট খাটো অনিয়ম করেন যা একেবারেই অপরাধ হিসেবে বিবেচিত না।
শিক্ষকরা শুধুমাত্র শিখাইতে পারে, জানাতে পারে, ভবিষ্যৎ গড়ার সব রকম সহযোগিতা করতে পারে, মানুষের মত মানুষ হওয়ার সব দিক নির্দেশনা দিতে পারে। কিন্তু, ঘুষ নিতে পারে না। প্রতারণা করতে পারে না। মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে না।
মারামারি করতে পারে না। ইপটিজিং করতে পারে না। চুরি বাটপারি করতে পারে না। বিদ্রোহ করতে পারে না। অন্যায় কাজে সমর্থন দিতে পারে না।
ইত্যাদি।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। এমনকি, প্রয়োজনে হাতিয়ার নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিয়ে যুদ্ধেও যেতে পারে।
শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয় তাহলে শিক্ষকরা মেরুদণ্ড তৈরির যন্ত্র বা কারখানা।
তাই এবং অবশ্যই শিক্ষক সমাজের মধ্যে ছোট বড় ও সরকারি বেসরকারি ভেদাভেদ না রেখে ও বৈসম্য না রেখে সব শিক্ষকদের একই পাল্লাতে মাপতে হবে এবং একই সারিতে গণনা করতে হবে। সকল সুযোগ সুবিধা এবং সহযোগিতা সমানতালে দিতে হবে।
(করোনা মহামারিকালে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের বৈসম্য চরমভাবে হতাশজনক)।
প্রয়োজনে শিক্ষকতা পেশায় আসতে হলে সমান যোগ্যতা ও সমান মূল্যায়নের মাধ্যমে আসতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা ডিপার্টমেন্টকে সম্পুর্ন সরকারি পরিচালনায় এবং সুনির্দিষ্ট শক্তিশালী কমিটির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।