সিএমএইচে এরশাদকে দেখে এলেন ওবায়দুল কাদের

জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা রাজধানী রাজনীতি স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে গেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাতীয় পার্টির উপ দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার সকালে সিএমএইচে গিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদকে দেখে আসেন। এরশাদের ভাই জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের গতকাল সোমবার সকালে জানিয়েছেন, এরশাদের ফুসফুসের সংক্রমণ কিডনিতেও ছড়িয়েছে। উনাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। আমরা আশা করছি উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পাশাপাশি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও তখন হাসপাতালে ছিলেন। এদিকে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই বারিধারায় এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে চলে কোরআন তেলাওয়াত। ৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণ ছাড়াও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে এরশাদকে দেখে এসে তার স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, উন্নতি হচ্ছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই তিনি সেরে উঠবেন। এরপর গত রোববার সন্ধ্যায় বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, শনিবার পর্যন্ত এরশাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। গত রোববার সকালে তার অবস্থা খারাপ হয়। ফুসফুসে পানি চলে এসেছে, দেখা দিয়েছে ইনফেকশন। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য এরশাদকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পরিবার প্রস্তুত রয়েছে জানিয়েই কাদের বলেন, এই মুহূর্তে সিএমএইচের চিকিৎসায় আমাদের আস্থা আছে। রাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এরশাদের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে কাদের তা নাকচ করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফেইসবুকে তিনি বলেন, তার অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তিনি এখনও অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। অসুস্থতার জন্য এরশাদ তার দলের কোনো রাজনৈতিক কর্মকা-েও যোগ দিতে পারছেন না। রংপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে হুইল চেয়ারে করে জাতীয় সংসদে শপথ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। গত ঈদুল ফিতরের আগে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলে আসেন এরশাদ। এরইমধ্যে ট্রাস্ট গঠন করে তাতে তার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করেছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *