যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি আরমানের সঙ্গে ও সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন পরীমনি

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে অন্যতম তার ঘন ঘন বিদেশ যাত্রা। এই বিদেশে যাত্রার সংগী সাথীদের মধ্যে জয়নাল হাজারী ও যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আরমান এবং বহুল আলোচিত সমালোচিত ক্যাসিনো সম্রাট সহ নামি দামি ব্যাবসায়ীদের তালিকা ও শীর্ষ।


বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি অভিনেত্রীর এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে বোমা ফাটালেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য জয়নাল হাজারী।

ফেসবুক লাইভে তিনি দাবি করেছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন পরীমনি।

জয়নাল হাজারীর কথায়, ‘সম্রাটের এক সঙ্গী আরমান পরীমনিকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যান। আমরা একই ফ্লাইটে গেলাম এবং আসার সময়ও একই ফ্লাইটে এলাম।

এই আরমানের কোনো ছবি মুক্তি পেয়েছে বলে আমি জানি না। ফেনীতেও সে পরীমনিকে নিয়ে গিয়েছিল। একটা কথাতেই সব শেষ হয় যে, এই মেয়ে (পরীমনি) বোট ক্লাবে গিয়েই অপরাধ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটা (পরীমনি) যদি না যেত এ ঘটনা হতো না। তাকে যদি ধর্ষণ করা হয় বা নির্যাতন করা হয়, তাতো তার দোষেই হয়েছে। সেতো জানে ওই ক্লাবে কি হয়। মদ খাওয়া হয়, জুয়া খেলা হয়। আমি যদি জেনে শুনে বাঘের মুখে পড়ি, বাঘতো আমাকে খাবেই।

সাপের গায়ের উপর পা দিলেতো কামড়াবেই। এটাতো জানা কথাই, তাহলে সে কেন গেল। মূলত এটার জন্য আমি তাকে অপরাধী করি।’

প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা প্রশ্ন রাখেন, ‘পরীমনি বোট ক্লাবের ঘটনার পর থানায় গিয়েছিলেন মামলা করতে। তবে পরীমনি অসংলগ্ন মাতাল ছিলেন বলে সেই মামলা নেননি থানার ওসি ।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সে যদি মাতাল হয়, তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করার নিয়ম। কিন্তু তখন তা কেন করা হলো না।’

গত ৯ জুন মধ্যরাতে সঙ্গীদের নিয়ে সাভারের বোট ক্লাবে যান পরীমনি। সেখানে তাকে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি যৌন হেনস্তা ও হত্যাচেষ্টা করেন বলে তিনি ঘটনার চারদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন।

এরপর ১৪ জুন সাভার থানায় গিয়ে মামলাও করেন। ওইদিনই গ্রেপ্তার হন নাসির ও অমি। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী নাসির বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।