ঢাকা ও কক্সবাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাড্ডা ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে বাড্ডায় নিহত রমজান আলী (৩৭) একটি হত্যা মামলার আসামি আর টেকনাফে নিহত সলিম উল্লাহ (৩৬) ইয়াবা কারবারি বলে দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা: ভাটারায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, যাকে আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হোসেন হত্যায় সন্দেহভাজন বলছে পুলিশ। বুধবার ভোরে পূর্ব সাতারকুলে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) ক্যাম্পাসের কাছে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযানের সময় এঘটনা ঘটে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিহত রমজানের বিরুদ্ধে ফরহাদ হত্যা ছাড়াও হত্যা, চাঁদাবাজির অভিযোগে ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। মশিউর বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পরিকল্পনার’ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ইউআইইউ ক্যাম্পাসের দক্ষিণে ও প্রজাপতি গার্ডেনের পুবে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযানে গিয়ে গুলির মুখে পড়লে তারাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পাশে একটি পিস্তল ও ইয়াবা পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা এসে মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে। রমজান গুলশান, বাড্ডা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী আশিক ও মেহেদী গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিল। গত বছরের ১৫ জুন দুপুরে জুমার নামাজের পর উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়ের কাছে বায়তুস সালাম জামে মসজিদের সামনে বাড্ডা ইউনিয়ন (এখন সিটি করপোরেশনের অধীন) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই বছরের ৫ জুলাই প্রায় একই জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুরুল ইসলাম সানি (২৮) ও অমিত (৩৫) নামে দুজন নিহত হন, ফরহাদ হত্যায় সন্দেহভাজন বলে তখন পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর জানান।
কক্সবাজার: গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালি মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশের ঝাউবাগান এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সলিম উল্লাহ নিহত হন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়ার বাসিন্দা। র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মির্জা শাহেদ মাহতাব দাবি করেছেন, গভীর রাতে র্যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের একটি দল ওই এলাকায় ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে যায়। তখন র্যাবকে লক্ষ করে গুলি করে মাদক কারবারিরা। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি, ১০ হাজার ইয়াবা, তিনটি তাজা কার্তুজ, সাতটি গুলির খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সলিম উল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সলিম উল্লাহ চাঞ্চল্যকর দুই লাখ ইয়াবা মামলার পলাতক প্রধান আসামি। লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।