নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর যেসব ইউনিয়ন সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সেখানে নতুন শহর নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, নতুন শহরে খোঁড়াখুঁড়ির ঝামেলা এড়াতে রাস্তার পাশে মাটির নিচ দিয়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন নেওয়া হবে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশক নিধন সংক্রান্ত এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, উত্তর সিটি কররপোশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, শহরে যেসব রাস্তা ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে তার পাশ দিয়ে ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস, পানির পাইপ লাইন গেছে। এগুলো সনাতনভাবেই প্রতিস্থাপন করতে হয়। যখনই প্রয়োজন হয় ওই কর্তৃপক্ষের মাটি কাটার বিষয়টি অপরিহার্য হয়ে যায়। ‘আমরা শহরকে সেভাবে গড়তে পারিনি। ফলে যখনই প্রয়োজন হচ্ছে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হচ্ছে। অনেক বছর আগে এসব পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা এমনভাবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিচ্ছি যাতে এসব কষ্ট থেকে নাগরিকদের পরিত্রাণ দিতে পারি।’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ডেঙ্গু মশার উপদ্রবটা মাথা ব্যথার কারণ মনে করা হচ্ছে, এটাকে নিরসন করার জন্য সিটি করপোরেশনসহ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে মশা নিধন করা যায়।
সিটি করপোরেশনগুলো মশা নিধনে কাজ করা স্বত্ত্বেও প্রাদুর্ভাবমুক্ত করতে পারছে না, এটাকে নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল করার জন্য আমরা এ সভায় বসেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে মশক নিধনকল্পে কীটনাশক ক্রয় ও এর প্রয়োগসহ সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সম্পন্ন করেছে। কীটনাশক ক্রয়ের আগে এর যথাযথ মান যাচাই এবং মশক নিধন কার্যক্রমের নিবিড় তদারকি করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই এবার আগে থেকেই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে, যাতে অল্প বৃষ্টিতেও জলবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়। উভয় সিটি করপোরেশন নালা, নর্দমা, খালগুলোকে মুক্ত করাসহ নাগরিক জীবনের স্বস্তির জন্য তারা কাজ করছেন। ঢাকাকে মানুষের কাছে বসবাসের উপযোগী করা হবে। বৃষ্টিতে সচিবালয়সহ ঢাকার অন্যান্য স্থানে পানি জমে যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অতিবৃষ্টি হলে পানি জমতে পারে। অনেক সময় নালাগুলো ভালোমতো পরিষ্কার করা হয় না, এটা যেন না হয়। আমার মনে হয় অতীতের তুলনায় অবস্থা সন্তোষজনক আছে। আমাদের যে পরিকল্পনা আছে সেটার বাস্তবায়ন হলে আমি মনে করি ঢাকাবাসী একটা দৃষ্টিনন্দন শহর পাবে। গত ১০ বছরে আমাদের অবস্থার উত্তরণ ঘটেছে। ওয়াসার পানি নিয়ে হাইকোর্টের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ৩৬টি পয়েন্ট থেকে পানি পরীক্ষার পর ২৬টি স্থানের পানিতে দূষণ পাওয়া যায়নি। ৭ বা ৮টিতে কনসার্ন আছে, সেখানে ইকো-ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, তবে সেটা মানবদেহের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর না। ‘আমরা একটা জায়গাতেও কোনো কন্ট্রামিনিটেড ওয়াটার সাপ্লাই করার পক্ষে নই। ৩৬টির মধ্যে ২৬টির পানি যদি তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে ভালো পাওয়া যায়, এজন্য তাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে। আর খারাপটার জন্যও তাকে অ্যাকাউন্টেবল করতে হবে। আমি মনে করি যেগুলো খারাপ আছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবো।