নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৬০,০০০ (ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, গতকাল সোমবার ২ আগস্ট, ভোররাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ১ কিঃ মিঃ দক্ষিণে আড়িয়াখালী মাঠ চিংড়ির ঘের এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধ ও আড়িয়াখালী মাঠের ভেতর আইলের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় টহল দল ১ জন দুষ্কৃতিকারীকে নাফ নদী ও বেড়ীবাঁধ পার হয়ে আড়িয়াখালী মাঠের উত্তর দিক দিয়ে ১ টি প্লাষ্টিকের বস্তা কাঁধে নিয়ে আড়িয়াখালী গ্রামের দিকে যেতে দেখে। টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে দেখা মাত্রই তাকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়।
দুষ্কৃতিকারী দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তাটি ফেলে দিয়ে মাছের ঘেরের আঁড় ব্যবহার করে খুব দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীর ফেলে যাওয়া ০১টি প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত বস্তাটির ভিতর হতে ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৬০,০০০ (ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।
ইয়াবা কারবারীকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ১০ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তার সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীকে সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।