আজকের দেশ প্রতিবেদক: কানাডায় আরো একবার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে সজাগ করতে ’সলিডারেটি উইথ দ্যা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক সেমিনার ও বাংলাদেশী ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার ৩০ জুন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিট থেকে ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত কানাডার বারলিংটোন ওন্টারিও হলিডে ইন হোটেলে রোহিঙ্গা সলিডারেটি নেটওয়ার্ক ও ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেটস অ্যাসোসিয়েশন রিইউনিয়নের উদ্যোগে ফোজিত শেখ বাবুর এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে লাউরেনটেইন ইউনিভার্সিটির ইকনোমিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. সাদেকুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের এজ হিল ইউনিভার্সিটির ভুগোলের সিনিয়র লেকচারার ড. তাসলিম শাকুর, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শ্রম সচিব ড. মাহফুজুল হক, মেকগিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আলিয়া খান, মেকগিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আকিল লিলাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। বড় বড় দেশগুলোর রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তারা আরো বলেন, প্রদর্শনীর চিত্রগুলো মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস হত্যাকান্ডের বিবরণ তুলে ধরে। অনেক চিত্রে ফুটে উঠেছে দুর্দশাগ্রস্থ রোহিঙ্গা শিশু যাদের পিতামাতাকে হত্যা করার পর তারা যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছবিতে ফুটে উঠেছে সেই সব মা বোনদের চিত্র মিয়ানমার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে ধর্ষিত হয়ে যারা নিজেদের মুখ ঢেকে রাখেন, আশ্রয়হীন বয়োবৃদ্ধদের বাঁশের মাচায় ঠাঁই নেওয়ার চিত্র। প্রকৃতপক্ষে তারা অভিভাবকহীন এক সম্প্রদায়।
এই ব্যাপারে ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু বলেন, আপনারা জানেন বর্তমানে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এইসব রোহিঙ্গাকে মানবতার খাতিরে আশ্রয় দিয়েছি আমরা। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী আমাদের মতো দেশের জন্য এই বিশাল জাতিগোষ্ঠীর ভার নেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই এই সব রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির লক্ষে আমার এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
তিনি আরো বলেন, সীমিত সামর্থ্যে দেশ-বিদেশের সংকট ও সাফল্য তুলে ধরার উদ্যোগ আমার এটিই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় আমি অনেক আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছি।
সেমিনারের পর ফিতা কেটে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
উল্লেখ্য, এটি বাবুর ১০ম আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এর আগেও তিনি দেশ-বিদেশে ৯টি আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘স্টপ দ্য ক্লাইমেট চেঞ্জ’, ‘বাঁচাও নদী শীতলক্ষ্যা’, ‘বাঁচাও নদী বুড়িগঙ্গা’, ফ্রান্সে প্যারিসে ‘দুরন্ত শৈশবে বই-আনন্দ’, ‘প্যারিস কেন সুন্দর’ স্লাইড-শো, লন্ডনে ‘হু আর দ্যা নিউ ভোট পিপল?’, ‘প্লিজ হেলপ ফর রোহিঙ্গা’।