নিজস্ব প্রতিবেদক : উন্নয়নের জোয়ার মানুষ দেখেনি, মানুষ দেখছে বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে শহর তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। এক মাসে চট্টগ্রাম নগরী ডুবেছে পাঁচ বার, আর রাজধানী ঢাকার মানুষ বৃষ্টির পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, উজানের পানি ও প্রবল বর্ষণে সারাদেশ এখন পানিতে ভাসছে। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেটসহ তিন পার্বত্য জেলার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যা বিস্তৃত হয়ে দেশের মধ্যভাগসহ প্রায় সব জেলা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। একদিকে, বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে, গবাদি পশু ও ক্ষেতের ফসল ভেসে গেছে। অন্যদিকে, লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে হাহাকার করছে। ত্রাণের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও সাহায্য পাচ্ছে না বন্যা কবলিত মানুষেরা। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী তাদের দলীয় সভায় বন্যা দূর্গতদের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেও এখনও পর্যন্ত্র ত্রাণ তৎপরতার কোন উদ্যোগই দেখা যায়নি।
রিজভী বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাগারে বন্দি। নিজের পথকে কাঁটামুক্ত করতেই সরকারপ্রধান তাকে কারাগারে আটকে রেখেছেন। এস কে সিনহা বলেছেন, প্রধান বিচারপতি থাকার পরেও বিচার পাইনি, আর এখন তো ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দেশের সবাই খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। শারীরিকভাবে অসুস্থ দেশনেত্রীকে এ মুহূর্তে মুক্তি দিতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারপন্থি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাগরিক স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ। তারা মিছিল দেখলেই নেতাকর্মীদের ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে গ্রেফতার-বাণিজ্যে মেতে ওঠে। গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ রিমান্ড পাওয়া না পাওয়া নিয়ে দরকষাকষি করা হয়। টাকা দিতে না পারলে জটিল মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এসময় সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো জবাব দেননি রুহুল কবির রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।